আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে অমিত শাহর সভায় বিজেপিতে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের ওই তৃণমূল নেতারা। তারপরই বিজেপির ক্ষুব্ধ জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন যাঁরা বাইরে গিয়ে রাজনীতি করছেন তাঁদের বাইরেই রাজনীতি করতে হবে। কুমারগ্রামে বিজেপি কর্মীরা দশরথবাবুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন। বিজেপি কর্মীরা দশরথবাবুর কুশপুতুলও দাহ করে।
এরপরেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে শোকজ করে। গঙ্গাপ্রসাদবাবু তার উত্তরও দিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা বিজেপি সংবর্ধনা দেওয়ার আগেই দলের রাজ্য নেতৃত্ব আলিপুরদুয়ারের তিন নবাগতকে ডেকে কলকাতায় সংবর্ধনা দেয়। তারপরেই সুর নরম হয় বিজেপির জেলা কমিটির এক নম্বর নেতার।
এদিন শহরের একটি বেসরকারি ভবনে দলের বুথ প্রবন্ধক কমিটির ভিড়ে ঠাসা সাংগঠনিক বৈঠকে নবাগত আশিসবাবু ও অভিজিৎবাবুকে জেলা বিজেপি’র পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদবাবু বিধাসনভা ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের নিজের নিজের বুথ মজবুত করার ডাক দেন। তিনি বলেন, ভোটে যদি জিততে চান তাহলে এখন থেকেই নিজের নিজের বুথ মজবুত করুন। বুথের সংগঠনকে শক্তিশালী করুন। বুথ মজবুত করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কাছে যান। গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেন, দশরথবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি কলকাতায় আছেন। জেলায় ফিরলে তাঁকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সংবর্ধনা নেওয়ার পর এদিন আশিসবাবু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পচে গিয়েছে। তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, তৃণমূলে আশিসবাবুদের সব সুবিধা পাওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে সুবিধা পেতে অন্য দলে গিয়েছেন। মানুষ ভোটে এর জবাব দেবে।