আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার সদ্য ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক হরিপদ সাহা বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমরা, সদস্যরা নিজেরাই বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। ওয়ার্ডগুলির নানা এলাকা ঘুরে দেখছি। কোথাও মানুষের কোনও সমস্যা থাকলে সেসব শুনছি। সমাধান করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই অনেক এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ ছিল। আবর্জনা সাফাইয়েরও সমস্যা ছিল। আমরা ঘুরে ঘুরে সেসব দেখে ব্যবস্থা নিয়েছি। আজ, শনিবার, এব্যাপারে আমরা একটি বৈঠকে বসব। কীভাবে সুষ্ঠু নাগরিক পরিষেবা দেওয়া যায়, তা নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় রয়েছে মোট ২৫টি ওয়ার্ড। এদিকে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রয়েছেন মোট ১১ জন। সেই ১১ জন সদস্যই ঘুরেফিরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে অভাব অভিযোগ শুনছেন। কিছু কিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানও করছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও যেসব সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে জানতে চাইছেন তাঁরা। সেসব বিষয় তাঁরা নোট করে নিচ্ছেন। ২ তারিখের বৈঠকে শহরের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বালুরঘাট শহরের এক বাসিন্দা নীল দত্ত বলেন, শহরের সবথেকে বড় সমস্যা হল, আবর্জনা ঠিকমতো সরানো করা হয় না। তাই নতুন বোর্ডের সদস্যদের আমরা সেই বিষয়ে অবগত করতে চাই। আমরা চাইছি, সব পাড়ায় প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরা আসুন। আমরা সমস্যাগুলি তাঁদের খুলে বলি। দ্রুত সেগুলির সমাধান করা হোক।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরের ২৫টি ওয়ার্ডে বহু সমস্যা রয়েছে। কোথাও আবর্জনার সমস্যা, কোথাও আলোর সমস্যা, আবার কোথাও পানীয় জল বা রাস্তার সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে শহরের একাধিক রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরা এসব কথা জানতে পারছেন। এছাড়াও শহরের সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে নির্মিত মনীষীদের মূর্তি, যাত্রী প্রতীক্ষালয় সহ বহু মডেল সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত পুর প্রশাসকমণ্ডলী।
২০১৮ সালের শেষদিকে বালুরঘাট পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। তারপর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বালুরঘাটের মহকুমা শাসকই প্রশাসক হিসেবে পুরসভার কাজকর্ম পরিচালনা করেছেন। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই রাজ্য সরকার সদস্যদের নাম পাঠিয়ে প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেইমতোই ওই ১১ জন দায়িত্ব নিয়েছেন।
খোদ পুর প্রশাসক হরিপদবাবু সহ ওই প্রশাসকমণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্যই অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁরা পুরসভার কাজকর্ম পরিচালনা সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞও নন। এনিয়ে আগেই বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। অভিজ্ঞতার অভাব যাতে কাজ পরিচালনায় কোনও বাধা না হয়, সেজন্যই পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে পরিস্থিতি বুঝে নিতে চাইছেন ওই সদস্যরা।