আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
তবে এ ঘটনার পর আগাম কঠোর সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যদপ্তর জেলার বেসরকারি রিসর্ট, লজ, হোটেল ও হোম স্টে মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকের জন্য জেলার বেসরকারি পর্যটন সংস্থাগুলিকে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর আগাম চিঠি দেওয়াও শুরু করেছে। পাশাপাশি পর্যটকদের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখার পর বাংলোতে ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য বনউন্নয়ন নিগম কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্টের মতো প্রত্যেকেরই আরটিপিসিআরের ফলও নেগেটিভ আসায় রাজাভাতখাওয়ায় ওই সরকারি বাংলোর আট পর্যটক এখন চলেও যেতে পারেন, থাকতেও পারেন। সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের বিষয়। বাংলোর কোয়ারেন্টাইন বিধিও তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার পর কঠোরভাবে কোভিড প্রোটোকলের সরকারি গাইডলাইন মানতে বেসরকারি পর্যটন সংস্থাগুলির মালিকদের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসব। সেজন্য সংশ্লিষ্ট পর্যটন সংস্থাগুলির কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। বন উন্নয়ন নিগমকেও আবেদন করা হয়েছে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখার পরেই যেন পর্যটকদের বাংলোয় ঢুকতে দেওয়া হয়।
রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্দীপ সুন্দরিয়াল বলেন, রাজাভাতখাওয়ায় ওই ঘটনার পর সরকারি কোভিড প্রোটোকল যাতে কঠোরভাবে মানা হয়, তারজন্য সমস্ত বাংলোয় নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লন্ডন ফেরত যে যুবকের দেহে করোনার নয়া স্ট্রেইনের হদিশ মিলেছে, তাঁরই তিন সহযাত্রী সহ আটজন ২৯ ডিসেম্বর রাজাভাতখাওয়ায় ওই সরকারি বাংলোতে উঠেছিলেন। এ খবর চাউর হতেই ডুয়ার্সজুড়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়।
এরপরেই তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর। তড়িঘড়ি বাংলো সিল করে দিয়ে আট পর্যটক ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা বাংলোর পাঁচকর্মীর সোয়াব সংগ্রহ করে আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য কোচবিহারে পাঠানো হয়। প্রত্যেকেরই ফল নেগেটিভ আসায় হাফ ছেড়ে বাঁচে স্বাস্থ্যদপ্তর। বনবাংলো সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের চূঁচুড়া থেকে আসা ওই আট পর্যটকের ৩১ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত বাংলোর রুম বুকিং ছিল। তাই শুক্রবার সকালেই পর্যটকের দলটি রাজাভাতখাওয়া ছেড়ে চলে গিয়েছে।