আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নলডুবি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাট্টার আসর বসতো। এর আগেও তার প্রতিবাদ করেছিলেন রিপনবাবু। বিষয়টি স্থানীয় থানাকেও জানানো হয়েছিল। পুলিস সক্রিয় হওয়ায় কিছু সময়ের জন্য দমে যায় যায় সাট্টা কারবারিরা। কিন্তু পরে আবার যে কে সেই। ফের রমরমিয়ে চলতে থাকে সাট্টার আসর। রিপনবাবু আবার প্রতিবাদ করলে এবার কারবারিরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। একজন পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে এ ধরনের হামলার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকার বাকি বাসিন্দারাও আতঙ্কিত। মালদহ থানায় এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত হামলার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিস সাট্টার আসরের সঙ্গে ওই হামলার যোগের কথা মানতে চায়নি। তাদের দাবি, ওই হামলার পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছেন রিপনবাবু ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এবিষয়ে মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রিপন বর্মন বলেন, ঘটনার সঙ্গে দলীয় কোনও ব্যাপারের যোগ নেই। বাড়ির পাশে অবৈধ সাট্টার কাউন্টার গজিয়ে উঠেছিল। বিষয়টি আমি পুলিসের নজরে এনেছিলাম। পরবর্তীতে পুলিস উদ্যোগী হয়ে সেটি বন্ধ করে দেয়। কয়েকদিন পর আবার দেখা যায় যে, সাট্টার কাউন্টার চালু হয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশ লোভে পড়ে কাউন্টারে গিয়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। এলাকায় কেন এধরনের অবৈধ কারবার চলবে? তাই প্রতিবাদ করেছিলাম আমি। বৃহস্পতিবার রাতে ছয়জনের একটি দুষ্কৃতী দল আমার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। প্রাণে বাঁচতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। বাড়িতে সেসময় আমার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছিল। দুষ্কৃতীরা তাদের মারধর ও হেনস্তা করেছে। গোটা ঘটনা পুলিসকে জানানো হয়েছে।
পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী জয়শ্রী বর্মন বলেন, রাতে কয়েকজন বাড়িতে ঢুকে স্বামীকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। অসুস্থ অবস্থায় আমি ছুটে গিয়ে বাধা দিই। তখন তারা আমার উপর চড়াও হয়। আমার চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে মারে। মালদহ থানার পুলিস জানিয়েছে, সাট্টা খেলা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে, এটি দলীয় কোনও কারণে হামলার বিষয়। পুরাতন মালদহ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জহর ঘোষ বলেন, রাজনৈতিক কোনও হামলা হয়নি। কী ঘটনা ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।