আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অনেকেই আবেদন করছেন। আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্প নিয়েও মানুষ উৎসাহী। সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে আমরা যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি প্রকল্প রূপায়ণের কাজ শুরু হয়। পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির করা হয়। সেখানে ব্লক প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকরা যান। রাজ্য সরকার নির্ধারিত প্রকল্পগুলিতে সুবিধা পাননি, এমন লোকজনের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি জায়গাতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এই কর্মসূচি নিয়ে উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। আধিকারিকদের কাছে পেয়ে অনেকেই সমস্যার কথা জানান। বেশকিছু সমস্যা স্থানীয় স্তরেই মিটে যায়। বাকি সমস্যার কথা জেলাস্তরে জানানো হয়। শিবিরে জমা পড়া আবেদনপত্রও জেলায় পাঠানো হয়। সেইমতো জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়। প্রশাসনের পাশাপাশি পুরসভার উদ্যোগেও শহরে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির আওতায় শিবির খোলা হয়। তিন-চারটি ওয়ার্ড নিয়ে এক-একটি শিবির করা হয়।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এতদিন জেলার ১৫টি ব্লক ও দু’টি শহরে প্রতিদিন ২৪টি করে শিবির খোলা হচ্ছিল। নতুন বছরে প্রতিদিন ৩০টি করে শিবির করা হবে। ইতিমধ্যে আমরা ৪২ হাজার কার্ড তৈরি করে দিয়েছি। কার্ড তৈরির কিট পেলেই ফের নতুন কার্ড করা হবে। এক-একটি শিবির থেকে দৈনিক কমপক্ষে ১৫০টি করে কার্ড বিলি করা হচ্ছে। কোনও কোনও শিবির থেকে দিনে ৩০০টি করেও কার্ড বিলি হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, এমন অনেকের পরিবারে কার্ড রয়েছে। ফলে তাঁদের আর নতুন করে কার্ড করার কোনও প্রয়োজন নেই। পুরনো কার্ডেই আবেদনকারীদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির দু’টি পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। ২ জানুয়ারি থেকে জেলায় তৃতীয় পর্যায়ের শিবির শুরু হবে। পূর্ববর্তী শিবিরে জমা পড়া আবেদনপত্রের ভিত্তিতে উপভোক্তাদের সরকারি সুবিধা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি নতুন করেও আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। ফলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য আরও অনেকে আবেদন করবেন বলে আমরা মনে করছি। সেইমতো আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেউ যাতে সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে।
কালিয়াচকের বাসিন্দা উজ্জ্বল মণ্ডল ও হবিবপুরবাসী হরেন মুর্মু বলেন, আগে আমরা স্বাস্থ্যবিমার আওতার বাইরে ছিলাম। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির আওতায় আবেদন করে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়েছি। আগামী দিনে পরিবারের কোনও সদস্যর অসুখ-বিসুখ হলে আমাদের আর চিন্তা করতে হবে না।