বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রটি তৈরি করেছে। তারা এখনও প্রশাসনের কাছে নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রটি হস্তান্তর করেনি। এর ফলে আমরা সেটি চালু করতে পারছি না। আশা করছি ভোটপর্ব মিটলে সেটি প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর হবে। তারপরই দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে সেটি চালু করে দেওয়া হবে।
বালুরঘাটের সংসদ সদস্য ও এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী তথা নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ বলেন, ভোটের গেড়োয় ওই কাজ আটকে গিয়েছে। নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের সব কাজ শেষ হওয়ার পরেও তা চালু করা যায়নি। নির্বাচনের আচরণ বিধি লাগু থাকায় সেটির হস্তান্তরও সম্ভব হচ্ছে না। ভোট শেষ হতেই এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। এনিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।
নাট্যকর্মী কমল দাস বলেন, নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে নাটকের শহরের এমন উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরি হওয়ায় আমরা সকলেই খুব খুশি হয়েছি। এতে নাট্যচর্চার প্রসার হবে। নাটকের উৎকর্ষ বাড়বে। নাট্যকর্মীদের অনেক সুবিধে হবে। দ্রুত সেটি চালু করার ব্যাপারে প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি নাট্য উৎকর্য কেন্দ্রটি যাতে সঠিক ভাবে পরিচলনা করা হয় সেই দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
চলতি বছর গত ২ মার্চ বালুরঘাট শহরে নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের দিনেই একে ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। নাটকের বা সাংস্কৃতিক জগতের লোকজনকে ব্রাত্য রেখে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে শহরের সাংস্কৃতিক মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত খোদ পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও আয়োজন দেখে তাঁর ক্ষোভ গোপন রাখেননি। তিনি নিজে বালুরঘাটে এসে নাট্যমেলা আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন।
এবার উদ্বোধনের দুই মাস পড়েও নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র তালাবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে। কেউ সেটি ব্যবহার করতে পারছে না। সাংস্কৃতিক ও প্রশাসন মহলের খবর, নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র কীভাবে পরিচালনা করা হবে, দায়িত্ব কাদের দেওয়া হবে, কমিটিতে কারা থাকবে এসব এখনও স্থির হয়নি। পাশাপাশি বহিরঙ্গে সেটি সেজে উঠলেও অন্দরসজ্জায় একাধিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। কোনও মহলের নির্দেশে তড়িঘড়ি সেটি উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নানা করণে তাই নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পরেও ফেলে রাখতে হয়েছে। প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি সম্পত্তি এখন পড়ে পড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।