শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
আবদুল মান্নান বলেন, করিম সাহেব আমার বন্ধু। তাই তাঁর বাড়িতে এসেছি। বন্ধুর সমর্থন চেয়েছি। আলোচনা পজেটিভ বা নেগেটিভ তা ভবিষ্যতে বোঝা যাবে। করিম সাহেব আমাদের পুরনো লোক। তাঁর আলাদা সম্মান আছে। দীপার হয়ে এবারের নির্বচনে কি করিম সাহেবকে দেখা যাবে? মান্নান বলেন, সব সময় রাজনীতি হয় না। তাঁর একটি নিজস্ব চিন্তাধারা আছে। আমার একটি নিজস্ব চিন্তাধারা আছে। আমরা এক সময় বিধানসভায় লড়েছি। আমি সব সময় চাইব করিম সাহেব আমাদের পাশে থাকুক। করিম সাহেব বলেন, আবদুল মান্নান আমার পুরনো বন্ধু। এই দিন কিছু না বলে হঠাৎ আমার বাড়িতে এসেছেন। কংগ্রেসের প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু আমি এখনও সিদ্ধান্ত জানাইনি। পরে প্রেস মিট করে এই নির্বাচনে আমার অবস্থান পরিষ্কার করে দেব।
প্রসঙ্গত, করিম সাহেব ইসলামপুর থেকে নয় বার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ছিলেন। সেসময় লোকসভা নির্বচনে কংগ্রেস-তৃণমূলে জোট হয়। সেবার কংগ্রেস প্রার্থী দাশমুন্সিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত তৃণমূল নিলে তিনি দীপার বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে যান। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে হেরে যান। জয়ী হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই কানাইয়ালাল তৃণমূলে যোগ দিলে এলাকার কর্তৃত্ব নিয়ে কানাইয়া-করিম দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তৃণমূল নেতৃত্ব কানাইয়ালালকে সঙ্গ দেওয়ায় করিম সাহেব দলত্যাগ করে নতুন দল বাংলা বিকাশবাদী কংগ্রেস তৈরি করেন। সম্প্রতি তাঁর দল এনডিএ’তে শামিল হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে এনডিএ’র প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামতে তাঁকে এখনও দেখা যায়নি। তিনি কাকে সমর্থন করবেন তাও এখনও জানা যায়নি। এমতাবস্থায় এদিন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান তাঁর সঙ্গে দেখা করায় রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।