শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মেখলিগঞ্জ মহকুমার দুটি ব্লক মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়িকে আলাদা করেছে তিস্তা নদী। হলদিবাড়ি ব্লকের সাধারণ মানুষকে মহকুমা শহর মেখলিগঞ্জ আসতে হলে জলপাইগুড়ি হয়ে ৮৫ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। বিগত বাম আমলে ও কেন্দ্রের কংগ্রেস আমলে তিস্তা নদীর উপর হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জ ব্লকের মানুষ সেতু তৈরির দাবি জানালেও তা গুরত্ব পায়নি। রাজ্যের পরিবর্তনের সরকার গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিস্তার উপর বেলতলি ঘাটে সেতু তৈরির কথা ঘোষণা করে। মূখ্যমন্ত্রী এই সেতুর নাম দেন জয়ী। সাবেক ছিটমহল বিনিময় কার্যকর হওয়ার পর সেখানকার পরিকাঠামো উন্নয়নে কেন্দ্র সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছিল তা থেকে এই সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। প্রাথমিক ভাবে ৪১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। যেহেতু কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকায় ব্রিজের কাজ চলছে তাই এবারের লোকসভা ভোটে নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করে জোর প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, তিস্তা নদীর উপর কয়েকশো কোটি টাকায় ব্রিজ তৈরির সামর্থ্য রাজ্যের নেই। সরকার মেলা আর উৎসবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় চলা প্রকল্পগুলি নিজেদের বলে দাবি করে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। মানুষ সবকিছু বুঝতে পারছে। তারা এবার ইভিএমে এর জাবাব দেবে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, মূখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় তিস্তার উপর জয়ী সেতু হচ্ছে। কেন্দ্রের টাকা অন্য কোথাও খরচ করা যেত। কিন্তু সাধারণ মানুষের অসুবিধা ও দাবি মেনে বেলতলি ঘাটে সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। মানুষ জানে বিগত পাঁচ বছরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কী কাজ করেছে। সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কোনও কাজই হয়নি।
মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূলের অর্ঘ্য রায় প্রধান বলেন, মহকুমা শহর ও কোচবিহার জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হলদিবাড়ির বাসিন্দারা ব্যাপক অসুবিধায় পড়েন। মানুষের দাবি মেনে মূখ্যমন্ত্রী বেলতলি ঘাটে সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মানুষ সবই জানে। বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব প্রচার করছে। মহকুমার মানুষের মধ্যে আমরা প্রচারে ব্রিজের কথা তুলে ধরছি। মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে। বিজেপি’র কোচবিহার জেলার প্রক্তন সভাপতি তথা রাজ্য কমিটির সদস্য হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকায় হলদিবাড়িতে তিস্তার উপর সেতু হচ্ছে। এটা সাধারণ মানুষের অজানা নয়। আমরা ভোট প্রচারে তা তুলে ধরছি। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের প্রকল্প নিজেদের বলে দাবি করে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। সাধারণ মানুষ সবই জানে। ভোটের বাক্সে তৃণমূল এর জবাব পাবে।