কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
অভিযোগ, নিউ দিল্লি স্টেশনের কাছে কমলা মার্কেট এলাকায় জলের বোতল এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করছিলেন বিহারের বাসিন্দা ওই হকার। তাঁর অস্থায়ী দোকানটি এমনভাবে রাখা হয়েছিল যাতে, সাধারণ মানুষের চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছিল। সেইসময় ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল কমলা মার্কেট থানার একটি পুলিস প্যাট্রলিং গাড়ি। ওই হকারকে একাধিকবার ‘স্টল’ সরাতে বলেন পুলিসকর্মীরা। কিন্তু তিনি শোনেননি। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুলিস। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, দিল্লির কমলা মার্কেট থানায় হকারের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, সেটিই নতুন ফৌজদারি আইনের নয়া ধারায় দায়ের করা দেশের মধ্যে প্রথম নথিভুক্ত কেস। যদিও সেই ‘ভুল’ ভেঙে দিয়েছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই।
সংসদে পাস হওয়ার পর সোমবার থেকেই কার্যকর হয়েছে নয়া ফৌজদারি আইন। সংসদ ভবন যে থানার আওতায়, সেই পার্লামেন্ট স্ট্রিট পিএস এবার এই আইনের কার্যকারিতা এবং বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে বাড়তি সতর্ক। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিই তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এদিন পার্লামেন্ট স্ট্রিট এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, নতুন আইনের বিভিন্ন ধারা সংক্রান্ত পোস্টার এবং ব্যানারে থানা চত্বর একপ্রকার ছেয়ে ফেলা হয়েছে।
তবে সোমবার বেলা ৩টে পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নতুন ধারায় কোনও মামলা দায়ের হয়নি বলেই দাবি করেছেন পুলিসকর্মীরা। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিকরা বলছেন, শুধুমাত্র এফআইআর লিখেই ছেড়ে দেওয়া নয়। যাঁরা অভিযোগ করতে আসবেন, প্রয়োজনে নতুন আইনের নয়া ধারা সম্পর্কে তাঁদেরও অবগত করানো হবে। আইওকে নতুন ধারা সংবলিত বই হাতে করেই বসতে হচ্ছে।