সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সবথেকে গ্রহণযোগ্য মূল্যবৃদ্ধির হার হল ৪ শতাংশের মধ্যে থাকা। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ২০২২ সাল থেকে লাগাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বাড়িয়ে চলেছে। ৪ থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হয়েছে রেপো রেট। রেপো রেট বাড়ানোর ফলে গাড়ি বাড়ির জন্য নেওয়া ব্যাঙ্ক ঋণের সুদের হারও সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। ইএমআই দিতে দিতে মধ্যবিত্তের পকেটে টান। অর্থাৎ আমজনতার দ্বিগুণ দুর্দশা। এমতাবস্থায় লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বে একবারের জন্যও প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকারের কোনও মন্ত্রীর মুখে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। মূল্যবৃদ্ধি কমানোর লক্ষ্যে কোনও সক্রিয়তাও দেখা যায়নি। এরইমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিল যে, আপাতত মূল্যবৃদ্ধির হার কমছে না। এই আর্থিক বছরের শেষে মূল্যবৃদ্ধির হার হতে পারে সাড়ে ৪ শতাংশ। এর মধ্যে সবথেকে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে এবং হচ্ছে খাদ্যপণ্যের। খাদ্য মূল্যবৃদ্ধি ৫ শতাংশের উপরেই থেকে যাবে বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মনে করছে।
এদিকে উচ্চ রেপো রেটের জেরে সরকারি ব্যাঙ্কের আয় ও মুনাফা বিগত কয়েক বছর ধরে সব রেকর্ড ভেঙে চলেছে। যা গর্বভরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে বলছেন। আর ব্যাঙ্কের এই সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছে। বুধবার জানা গিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা ডিভিডেন্ড দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। যা এর আগের লভ্যাংশ থেকে অনেক বেশি। গত বছর লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল ৮৭ হাজার কোটি টাকা। সব পূর্বাভাস ভেঙে কেন্দ্রীয় সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে পেল ২ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা। রাজকোষ তো পূর্ণ হচ্ছে! মধ্যবিত্তের সঞ্চয় বাড়ছে না। কমছে না মূল্যবৃদ্ধি।