নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ১০ জুলাই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। ওই দিন ভোট হবে মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ বিধানসভা আসনে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে মানিকতলা বাদে তিনটি কেন্দ্রেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু জোড়াফুল শিবিরের নেতারা দাবি করেছেন, যে চার বিধানসভা আসনে উপ নির্বাচন হতে চলেছে, তার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্র বা রাজ্যের সরকার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বাংলায় যে সরকার চলছে, তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উপ নির্বাচনে মানুষ শাসকদলের প্রার্থীদেরই সমর্থন করবেন বলে বিশ্বাস তাঁদের। অতীতের তথ্য বলছে, উপ নির্বাচনগুলিতে মানুষ তৃণমূলের উপরই আস্থা রেখেছেন। তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে খড়্গপুর সদর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। কিন্তু ২০১৯ সালের উপ নির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূলের প্রদীপ সরকার। একইসঙ্গে ২০১৯ সালের উপ নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের তপন দেব সিংহ। ২০১৬ সালে কিন্তু কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রমথনাথ রায়।
আগামী ১০ তারিখ হতে চলা উপ নির্বাচন প্রসঙ্গে তৃণমূল ভবনের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট হল, মানিকলতায় সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে এলাকায় সুপরিচিত এবং দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত। আর বাগদায় মতুয়া পরিবারের সদস্য এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি মধুপর্ণা ঠাকুর। ফলে মানিকতলা ও বাগদায় যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সুপ্তি ও মধুপর্ণার উপর মানুষ আস্থা রাখবেন বলে বিশ্বাস তৃণমূল নেতৃত্বের।
অন্যদিকে রানাঘাট দক্ষিণে মকুটমণি অধিকারী এবং রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণী রাজনৈতিক পরিসরে রয়েছেন অনেকদিন ধরেই। তাঁদের চেনেন এলাকার মানুষ। তাঁরা বিধানসভা এলাকায় জিতে এলে আরও উন্নয়ন করতে পারবেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের বিশ্বাস। তৃণমূল নেতাদের অভিমত, উপ নির্বাচনে সাধারণত ভোট কম পড়ে। কিন্তু যেটুকু ভোট পড়ে, তা শাসকদলের বাক্সেই যায়। অন্তত এর আগের উপ নির্বাচনের তথ্য তাই বলছে।