কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
রাজ্যপালের টালবাহানার কারণেই সদ্য-জয়ী দুই তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যের বিধায়ক হিসেবে শপথগ্রহণ হচ্ছে না, এই অভিযোগ এনে ২৬ জুন থেকে বিধানসভা চত্বরে ধর্না কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। প্রথমে বিধানসভায় প্রবেশের গাড়ি বারান্দায় এবং পরে বাবাসাহেব আম্বেদকর মূর্তির সামনে অবস্থান ধর্না চালাচ্ছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকার। তিন-চারদিনের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দফায় দফায় যোগ দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী থেকে তৃণমূল বিধায়করা। তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, রাজ্যপাল ইচ্ছে করেই শপথ নিয়ে টালবাহানা করছেন। রবিবার সায়ন্তিকা বলেন, আমরা চাই শপথগ্রহণের ব্যবস্থাটি রাজ্যপাল দ্রুততার সঙ্গেই করুন। এই দাবিতে তাঁদের ধর্না কর্মসূচি আগামী কাল, সোমবারও চলবে। রেয়াত হোসেন বলেন, ধর্না আমরা চালিয়ে যাব। এবার দেখতে চাই, আমাদের শপথগ্রহণের অনুমতি রাজ্যপাল কবে দেন।
অন্যদিকে, কোচবিহারে নারীনির্যাতনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এই সূত্রে বিজেপির পরিষদীয় দলের তরফে আজ সোমবার বিধানসভার গেটের বাইরে ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিজেপির পরিষদীয় দল জানিয়েছে, তাদের মহিলা বিধায়করা বিধানসভার গেটের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য সিবিআই তদন্তই চায় তারা। দাবি পূরণে আইনি লড়াইয়েরও বার্তা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কোচবিহারে গিয়ে নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিও তুলেছে গেরুয়া শিবির।
স্বভাবতই আজ বিধানসভা চত্বরে তৃণমূল ও বিজেপি দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের দুটি কর্মসূচি থাকছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে এবং জোরদার স্লোগানও দেবে। তবে তাদের বাগ্যুদ্ধ কোনদিকে মোড় নেয়, সেদিকে নজর রেখেছে রাজনৈতিক মহল।