কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
কয়েকশো ভুক্তভোগী শিক্ষকের বিভিন্ন কারণে বেতনের টাকা বকেয়া রয়েছে। একসময় শিক্ষাদপ্তর ওডিএল পদ্ধতিতে স্কুলশিক্ষকদের মতো মাদ্রাসা শিক্ষকদেরও শিক্ষক শিক্ষণের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তার আগেই যাঁদের ইনক্রিমেন্ট আটকে গিয়েছিল, তা স্কুলশিক্ষা দপ্তরের মতোই ছেড়ে দেয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দপ্তর। সেই টাকা তো রয়েছেই। এছাড়া, ১৮ বছরের বেনিফিট (একটি ইনক্রিমেন্ট), দেরিতে চাকরির কনফার্মেশন প্রভৃতি খাতেও অর্থ বকেয়া রয়েছে শিক্ষকদের। মাদ্রাসা এডুকেশনের ডিরেক্টর আবিদ হোসেন জানিয়েছেন, বহু আগেই এই অর্থ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুফিয়ান পাইক নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক বলেন, ‘আমরা অনেকেই একাধিকবার নথি জমা করেছি। তাও হয়রান করা হচ্ছে। লাস্ট ইনক্রিমেন্ট সহ অন্যান্য বকেয়া অর্থ যাতে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়, তার জন্য ডিআই দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি।’ লক্ষাধিক টাকা বকেয়া রয়েছে, এমন শিক্ষকদের একাংশ ডিআই অফিসের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন। বিলম্ব প্রসঙ্গে ডিআই জয়ন্তী জানা বলেন, ‘টাকা ছাড়ার কাজ চলছে। কেন দেরি হচ্ছে, তা শিক্ষক ও মাদ্রাসাগুলিকে জানানো হয়েছে। আজও ফোন করে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।’ মাদ্রাসা শিক্ষকদের একাংশের দাবি, স্কুলশিক্ষকদের কাজে এই দেরি করতে পারে না ডিআই অফিস। কারণ, তাঁরা সংখ্যায় বেশি। মাদ্রাসা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই গড়িমসি বাড়ে। তাছাড়া, ডিআই অফিসের কর্মীরা মূলত শিক্ষাদপ্তরের অধীনে থাকায় মাদ্রাসার চাপ তাঁরা বাড়তি বলে মনে করেন। সেই কারণেও কাজে ঢিলে দিয়ে থাকেন।