উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
শুধু তনুশ্রী বা সুশান্তই নন, বাংলার একটি বিরাট অংশের মানুষের মানুষের মধ্যে এবার এই সদিচ্ছা দেখা গিয়েছে। এবার না হয় নাই হল জমিয়ে ঠাকুর দেখা। ভালো থেকে, সুস্থ থেকে আগে করোনাসুরকে বধ করি। পরের বছর মাস্ক ছাড়াই চুটিয়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরা যাবে। তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছে লোকাল ট্রেন না চালানোর রাজ্য প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। এর ফলে কলকাতায় ‘ঠাকুর দেখার ভিড়’ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।
পুজোর উদ্যোক্তারাও বললেন, এবার বাইরের দর্শনার্থীর ভিড় প্রায় ছিল না। পাড়ার লোকজনরাই এলাকার পুজোর আনন্দ উপভোগ করেছেন। আর ভার্চুয়াল অঞ্জলিতে বাঙালি প্রার্থনা করেছে, মাস্ক হীন হোক একুশের দুর্গাপুজো।
উত্তরের কলেজ স্কোয়ার থেকে দক্ষিণে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের বরাবরের চেনা ভিড়ের ছবিটা এবার দেখা যায়নি। অষ্টমী কিংবা নবমীর রাতে সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণী, একডালিয়া এভারগ্রিন, শ্রীভূমির মতো বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপে হতো লাখ লাখ মানুষের সমাগম। এবছর সংখ্যাটা মেরেকেটে হাজার দশেক। আদালতের নির্দেশ মেনে ব্যারিকেডের ওপার থেকেই ক্যামেরা জুম করে ছবি তুলেছেন অল্প সংখ্যক দর্শনার্থী। ভলান্টিয়ারদের মুখে শোনা যায়নি, এগিয়ে চলুন, দাঁড়াবেন না। বরং বাঁশি বাজিয়ে তাঁরা হাঁক দিয়েছেন, ভিড় করবেন না।
ষষ্ঠী থেকে শহর কলকাতা জুড়ে গাড়ির যানজট বিগত বছরেও ধরা পড়েছে। কিন্তু এবার তেমন হয়নি। ঠাকুর দেখতে যাওয়ার উৎসুক জনতার স্রোত কম ছিল। বিশেষ করে প্রবীণরা ঘরবন্দিই ছিলেন। তবে মণ্ডপের ভিড় এড়িয়ে বাঙালি মজে ছিল রেস্তরাঁর পুজো স্পেশাল খাবারে। তাছাড়া দূরে ঠাকুর দেখতে না গিয়ে পাড়ার পুজো মণ্ডপে সময় কাটিয়েছেন অনেকে। আর প্রায় সব পুজো কমিটি দর্শকদের কাছে টানতে ফেসবুক লাইভে মণ্ডপ, প্রতিমা দর্শন করিয়েছে দিনভর।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এটাই শেষ দুর্গাপুজো। ফলে রাজনৈতিক নেতাদের কাছেও জনসংযোগের বড় মাধ্যম ছিল এই পুজো। সংখ্যায় কম হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্টলও বসেছিল পুজো মণ্ডপের বাইরে। আর পুজোর সময় রাজ্যবাসীর পাহারাদারের ভূমিকায় ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুজিত বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ রায়রা। তাঁরা রাত জেগে মানুষের পাশে থেকেছেন।
তবে ভোটের আগে বিজেপিও দুর্গাপুজো করে রাজনৈতিক জমি দখলের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ইজেডসিসিতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সারা রাজ্যে বিজেপি যে এখনও পিছিয়ে রয়েছে, তা সাদা কাশফুলের মতো পরিষ্কার। রাজ্যের অধিকাংশ পুজো এখনও তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী থেকে কাউন্সিলারদের দখলেই রয়েছে।