উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা কৃষিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, চলতি বছরে জেলায় ডাল চাষের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গতবারের তুলনায় প্রায় দু’হাজার হেক্টর বাড়ানো হয়েছে। এরজন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ধরনের প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই আমরা উন্নত প্রজাতির বীজ, অনুখাদ্য ও কীটনাশক চাষিদের হাতে তুলে দেব।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে বাঁকুড়া জেলায় প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। বিষ্ণুপুর মহকুমার অধিকাংশ চাষি ধান তোলার পর একই জমিতে আলু লাগাবেন। তাই সদর ও খাতড়া মহকুমায় তৈলবীজ ও ডালশস্য চাষের উপর বেশি জোর দিচ্ছে কৃষিদপ্তর। জেলার মধ্যে ছাতনা, সোনামুখী, ইন্দপুর, বাঁকুড়া-২, সারেঙ্গা ও ওন্দা ব্লকে সবচেয়ে বেশি ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে প্রচলিত ছাড়াও উন্নত ও হাইব্রিড প্রজাতির ডালের বীজ চাষের জন্য দেওয়া হবে। একই সঙ্গে চাষিদের সুবিধার জন্য বিনামূল্যে বীজ ছাড়াও সার ও কীটনাশক দেবে কৃষিদপ্তর। তাই ব্লক ভিত্তিক চাষিদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ইচ্ছুক চাষিরা কৃষিদপ্তরের এই বীজ ও চাষের উপাদান পাওয়ার জন্য ব্লক স্তরে আবেদনও করতে পারবেন। দপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী চার হাজার হেক্টর জমিতে মসুর, তিন হাজার হেক্টর খেসারি, দু’হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে মুগ ও এক হাজার হেক্টর জমিতে ছোলা চাষের জন্য চাষিদের সহযোগিতা করবে কৃষিদপ্তর।
জেলার মধ্যে রাইপুর ব্লকে সব থেকে বেশি ৮৫০ হেক্টর জমিতে ডালশস্য চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাইপুরের চাষি মধুসুদন সিং বলেন, প্রতিবছরই ধান তুলে রবি মরশুমে মসুর চাষ করি। গত বছর কৃষিদপ্তরের দেওয়া বীজ চাষ করে দারুণ ফলন হয়েছিল। এবারও মসুর চাষের ইচ্ছা রয়েছে। তাই দপ্তরের কাছে উন্নত প্রজাতির ডালের বীজের জন্য আবেদন করেছি। ধান তুলেই ওই বীজ বুনব।