ওয়াশিংটন: প্রথম থেকে করোনা নিয়ে গাছাড়া মনোভাব দেখিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার খেসারত দিতে হয়েছে দেশবাসীকে। ট্রাম্পের সৌজন্যেই হোয়াইট হাউস করোনার ‘হট জোন’-এ পরিণত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একই সঙ্গে ট্রাম্পকে ওবামার খোঁচা, ‘সংবাদমাধ্যমে করোনার প্রচারে তিনি ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছেন।’ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রচারে শান দিচ্ছেন ওবামা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনী প্রচারে কখনও এতটা সক্রিয় হতে দেখা যায়নি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টদের। একদা সহকারী জো বিডেনের ম্রিয়মাণ প্রচারে হতাশ হয়েই ওবামাকে এতটা সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। তাই বিডেনের হয়ে প্রচারের গুরু দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন ওবামাই। গত কয়েকদিন ধরে ফ্লোরিডায় মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ট্রাম্পের করোনা সংক্রান্ত মন্তব্যকে উল্লেখ করে তুলোধোনা করেন ওবামা। করোনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘এটা কিছুই করতে পারবে না।’ ওবামা এদিন বলেন, ‘আর কতটা ক্ষতি হলে, আপনার টনক নড়বে? দয়া করে জানাবেন?’ করোনা আক্রান্তদের শরীরে ব্লিচ ইনজেক্ট করার কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প। তা নিয়েও ট্রাম্পকে ব্যাঙ্গ করতে ছাড়েননি ওবামা। তিনি বলেন, ‘বিডেন কখনও করোনা পরীক্ষা কমানোর কথা বলবেন না। তিনি বিজ্ঞানীদের বোকা বলবেন না। হোয়াইট হাউসে তিনি সুপার স্প্রেডার কোনও ইভেন্টের আয়োজন করবেন না।’ 
এদিকে, ট্রাম্পের হয়ে প্রচারে করোনাকেই হাতিয়ার করলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় প্রচারে গিয়ে মেলানিয়া বলেন, ‘আমার স্বামী একজন করোনা যোদ্ধা। তিনি এই দেশকে ভালোবাসেন। প্রতিদিনই তিনি যুদ্ধ করে চলেছেন।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনই নিয়ম করে নানা বিষয়ে মতামত দিয়ে থাকেন ট্রাম্প। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এ বিষয়েও স্বামীকে সমর্থন করে মেলানিয়া বলেন, ‘ইতিহাসে এই প্রথম একজন প্রেসিডেন্ট এসেছেন, যিনি সরাসরি দেশবাসীর সঙ্গে মতামত বিনিময় করেন। তাঁর সঙ্গে আমি সবসময় একমত হতে পারিনি। তবে তিনি সরাসরি দেশবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।’ আগামী চার বছর দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থায় বিডেনকে নির্বাচিত করলে দেশ পিছিয়ে পড়বে বলে মেলানিয়া মন্তব্য করেন।