উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য দু’দিন পিছিয়ে যায় তাঁর যাত্রা। ঠিক ছিল, পঞ্চমীর দিন শুরু হবে এই পথচলা। করোনা আবহে বাড়ি বসে থাকতে চাননি পাপ্পু রায়। সঙ্গে শুকনো খাবার, ওষুধ, জল ইত্যাদি নিয়েই বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলা পরিক্রমা করেছেন পাপ্পুবাবু। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি অবশ্য এই কর্মসূচির আওতায় নেই। তিনি সাইকেল নিয়ে ঘুরছেন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
কেন এই উদ্যোগ? করোনাকালে অভাবী এবং দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে আসরে নেমেছে অসাধু চক্র। অসহায় মানুষদের ফাঁদে ফেলে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পাচার করতে তারা উদ্যত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরও মাথাচাড়া দিতে পারে। তাই গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে সচেতন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই তরুণ শিক্ষক। তাঁর কথায়, মানব পাচার কীভাবে আটকানো যায়, তা নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করেছি। এই সংক্রান্ত একাধিক প্রিন্ট আউট বের করে সঙ্গে রেখেছি। সেসব দেখিয়ে মানুষকে বলছি, কেন পাচার হয়। যাঁরা একান্তই বাইরে কাজ করতে যেতে চান, তাঁরা যেন সব খোঁজখবর নিয়ে তারপর যেন সিদ্ধান্ত নেন।
এই অভিযানের মধ্যেও পড়ুয়াদের কথা ভোলেননি মাস্টারমশাই। প্রচারের ফাঁকে অনলাইনে ক্লাসও নিচ্ছেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ছিল তাঁর প্রথম গন্তব্য। সেখানে এক রাত কাটিয়ে মায়াপুর হয়ে মুর্শিদাবাদ যান তিনি। মঙ্গলবার ছিলেন শান্তিনিকেতনে। চলেছে প্রচার। রাতযাপনের তাঁবু সঙ্গে থাকলেও, উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় মায়াপুরে হোটেলেই থেকেছেন তিনি। বনগাঁতেও এক ব্যক্তির বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই শিক্ষক। কীভাবে করছেন প্রচার? মাস্টারমশাইয়ের কথায়, সাইকেলে ব্যানার-পোস্টার দেখে অনেকেই এগিয়ে আসছেন, জানতে চাইছেন। তাঁদের ব্যাখ্যা করছি সবটা। তাঁর এই পদক্ষেপের পিছনে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে পরিবারের। তবে ছোট মেয়ের জন্য একটু মন খারাপ পাপ্পুবাবুর। রাস্তায় তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। আরও পাঁচদিন এভাবেই সাইকেলে করে দক্ষিণবঙ্গের গ্রাম-শহর ঘুরে বাড়ি ফিরবেন তিনি।
নিজের ‘বাহন’-এর সঙ্গে পাপ্পু রায়। -নিজস্ব চিত্র