উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
হিমঘর থেকে বের হওয়ার পর আলুর দাম এখনও বেশ চড়া। গত শুক্রবার নবান্নে আলু নিয়ে বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে হিমঘর মালিক ও আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সরকার ২২ টাকা দরে হিমঘর থেকে আলু বের করতে বললেও তা বিকোচ্ছে ২৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা দিন সাতেক সময় চেয়েছেন। কিন্তু সেই সময়সীমাও প্রায় শেষ। আগের তুলনায় দাম নাকি দু’টাকা কমেছে, এমনটাই দাবি ব্যবসায়ীদের। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বুধবার বাঁকুড়ার জয়পুরে বৈঠকে বসে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। সংগঠনের সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাজারদরের উপর হস্তক্ষেপ করে এভাবে দাম কমানো সম্ভব নয়। বাজারে যেদিন যা দাম হবে, তাতেই বিক্রি চলবে। সরকার কিনতে চাইলে ওই দামেই কিনতে হবে। তাঁদের যুক্তি হল, বিভিন্ন ব্যক্তি হিমঘরে আলু রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে কৃষক, ব্যবসায়ী, হিমঘর মালিক ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ আছেন। নিজেদের রাখা আলু কবে ও কোন দামে তাঁরা বিক্রি করবেন, সেটা কোনও সংগঠন বা অন্য কেউ চাপিয়ে দিতে পারে না। চাহিদা ও জোগান অনুযায়ী বাজারের দাম ঠিক হয়।
সব মিলিয়ে যা দেখা যাচ্ছে, আলুর দাম নিয়ে সরকারের সঙ্গে কার্যত ব্যবসায়ীদের সংঘাত বেধেছে। সরকার এখন কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই দেখার। আলু নিয়ে বুধবার নবান্নে প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই বৈঠকে খুচরো বাজারে ইবিকে অভিযানে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অভিযান চলবে। কলকাতা পুলিসের বাইরের এলাকাতেও অভিযান চলবে। পাশাপাশি হিমঘরে কাদের আলু আছে, সেসম্পর্কে খোঁজখবর করতে পারে প্রশাসন। হিমঘরে প্রচুর আলু বেনামে রাখা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক সময় চাষিদের নামে আলু রেখে বন্ড কেনা হয়। আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন অবশ্য জানিয়েছে, নথিপত্র পরীক্ষা করলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। ভিনরাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে ‘কড়াকড়ি’ করতে পারে প্রশাসন। ভিনরাজ্যে আলু পাঠানো সরাসরি বন্ধ করতে না পারলেও বিভিন্ন বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর সুযোগ আছে।