উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
রিপাবলিকানদের বরাবরের শক্ত ঘাঁটি জর্জিয়া। ১৯৯২ সালের পর কোনও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এই প্রদেশের সমর্থন পাননি। এবার সেই সমীকরণ বদলাতে মরিয়া বিডেন শিবির। মঙ্গলবার সেখানে প্রচারে নেমে ট্রাম্পকে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। বলেছেন, ‘বিদায়ী প্রেসিডেন্ট দেশকে ভাগ করে ফেলেছেন। আমি জিতলে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের আমেরিকার মতো সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করব।’ ২০১৬ সালের নির্বাচনে আইওয়াতে ১০ পয়েন্টে জিতেছিলেন ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহে সেখানে প্রচারে নামবেন বিডেন। যাবেন মিশিগান, ফ্লোরিডা ও উইসকনসিনেও। তাঁর রানিং মেট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের নজর আবার অ্যারিজোনা ও টেক্সাসে। ১৯৯৪ সালের পর থেকে এখানে রিপাবলিকানরা কখনও হারেনি।
ডেমোক্র্যাটদের ঘরের ছেলে ভোটকৌশলী জো ট্রিপি জানিয়েছেন, সুইং স্টেটে জোর দেওয়ার পাশাপাশি টিভিতে নতুন প্রচার শুরু করেছে ডেমোক্র্যাটরা। আইওয়া, টেক্সাস, জর্জিয়া এবং ওহায়োতে টিম বিডেনের এই কৌশল চাপ বাড়িয়েছে রিপাবলিকান শিবিরের উপর। কারণ, ক্ষমতায় ফিরতে হলে এই প্রদেশগুলিতে জিততেই হবে ট্রাম্পকে। তবে রিপাবলিকান ঘাঁটিতে বেশি জোর দেওয়ায় অন্য ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটের জমি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তিনি পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বিডেনদের কৌশলকে অবশ্য বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ ট্রাম্পের ক্যাম্পেন ম্যানেজার বিল স্টিফেন। তাঁর কথায়, রিপাবলিকান প্রদেশে জো বিডেন প্রচার চালাতেই পারেন। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। হাজার চেষ্টা করলেও সেখানে বিডেন জিততে পারবেন না। এই সব প্রদেশের রং লালই থাকবে।
ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটগুলিতে বিডেনকে যে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না—তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার মিশিগান, উইসকনসিন এবং নেব্রাস্কায় তিনটি র্যালি করেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে কে জয়ী হবেন, তা স্থির করার ভার তিনি ছেড়েছেন জনতা জনার্দনের হাতেই। শুধু মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই আমলে অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিডেন এলে এই অগ্রগতি ধাক্কা খাবে। রিপাবলিকান প্রার্থী বলেন, ‘ট্রাম্পের সুপার রিকভারি নাকি বিডেন ডিপ্রেশন, ঠিক করবেন আপনারাই। ওঁরা জিতলে আপনাদের উপরে বড় অঙ্কের কর চাপবে।’ এই তিন প্রদেশের রায়ই তাঁর পক্ষে আসবে বলে দাবি ট্রাম্পের। ছবি: এএফপি