উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
দেবী মহালক্ষ্মীর ১৮টি হাত বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত থাকে। দেবীর এক হাতে থাকে সুদর্শন চক্র। অন্য হাতগুলিতে থাকে ত্রিশূল, গদা, তীর, ধনুক, কুঠার, বজ্র, জপের মালা, শঙ্খ, পদ্ম সহ আরও অনেক কিছু। সেসবেরও আরাধনা করা হয়। উদ্যোক্তারা জানান, গত প্রায় দুই দশক ধরে এভাবেই পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে।
এই পুজোয় খুব বেশি জাঁকজমক নেই বা আয়োজন নিয়ে খুব একটা হইচই নেই। ছিলও না কোনওকালে। যা রয়েছে, তা হল আয়োজনের পদে পদে ভক্তি ও নিয়ম নিষ্ঠার প্রকাশ। মহালক্ষ্মী পুজোয় নিয়ম মেনে সকাল ও রাত, দু’বেলাতেই পুজোর আয়োজন করা হয়। সকালের পুজোটাই মূল। তার বহু নিয়ম রয়েছে। যজ্ঞ অনুষ্ঠানকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই যজ্ঞে এক হাজার আটটি বেলপাতার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও পুজোর সময় বস্ত্র, আলতা, কাজল, নেলপালিশ, চিরুনি, পাদ্য অর্ঘ্য সহ ষোল রকম উপাচার দেবীকে নিবেদন করা হয়। পুজোয় গ্রামের মহিলারা উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। শক্তিরূপিণী দেবী মহালক্ষীকে দেখতে শুধু বামনগোলা নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। তবে করোনার জন্য এবার পরিস্থিতি আলাদা। সংক্রমণ রুখতে জমায়েত রোখার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আশ্রমের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ভক্তরা পরের বছর এলে বেশি ভালো হয়। তারপরেও যাঁরা যাঁরা আসবেন, তাঁদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে।
বামনগোলার সারদা তীর্থম আশ্রমের সম্পাদক আত্মপ্রাণানন্দ মহারাজ বলেন, এবার মহালক্ষ্মীর পুজো ২০তম বছরে পড়ল। সব নিয়ম মেনে ও নিষ্ঠা সহকারে দেবীর আরাধনার ব্যবস্থা করা হবে। মার্কেন্ডেয় পুরাণে চণ্ডীর অধ্যায়ে বলা হয়েছে, মা দুৰ্গা যখন অসুর নিধন করছিলেন, সেই সময় দেবী আরও কয়েকটি রূপ ধারণ করেছিলেন। সেসব রূপের মধ্যেই একটি হল এই মহালক্ষী। এই শক্তিরূপিণী মহালক্ষীর হাতে সুদর্শন চক্র, গদা, তীর, লাঠি, কুঠার ইত্যাদি রয়েছে। সেসব দিয়ে অসুরের বিশাল সৈন্য বাহিনীকে নিধন করেছিলেন দেবী। সেই রূপেই এখানে মায়ের পুজো করা হচ্ছে। মায়ের পুজোয় ১৬ উপাচার দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ওই আশ্রমের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণচন্দ্র মণ্ডল বলেন, অবসর গ্রহণের পরেও পড়ুয়াদের টানে আশ্রমে পড়াতে যাই এখনও। মহালক্ষীর পুজো প্রতিবছরের মতোই এবারও হচ্ছে। পুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই, এখন জোরকদমে প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে। পুজোর দিন বড় মহারাজ আসেন। তিনিই পুজো পরিচালনা করেন। গ্রামের মহিলারা তো ইে পুজোয় অংশগ্রহণ করেনই, সেইসঙ্গে জেলার অন্যান্য এলাকা থেকেও অনেকে পুজো দেখতে আসেন। তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে জমায়েত চাইছি না।