উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
রাজ্যবাসীর প্রার্থনা একটাই, আসছে বছর যেন করোনা নামক অসুর না থাকে। মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা পুলিসকর্মীদের। তাঁর শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছেছে প্রত্যেক থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জদের কাছে। সমাজের বিশিষ্ট মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের কাছেও শুভেচ্ছা কার্ড ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গের মানুষদের। টুইটারে লিখেছেন, ‘উৎসবের শেষে ফের উৎসব শুরু। সমৃদ্ধির দেবী ভান্ডানি পুজো উপলক্ষে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার রাজবংশী সহ সর্বধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষকে জানাই শুভেচ্ছা।’
তবে এই শুভেচ্ছা পর্বের পুরোটাই সরাসরি সাক্ষাৎকে ব্যতি রেখে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। লক্ষ্য করা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এবার জেলার পুজোর উদ্বোধন করেছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। ১২ অক্টোবর চেতলা অগ্রণীতে দেবী প্রতিমার চক্ষুদান করেন তিনি। পরবর্তীতে সুরুচি সংঘ, নাকতলা উদয়ন সংঘ, একডালিয়া এভারগ্রিন, হিন্দুস্তান ক্লাব সহ যে পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধির দিকেই নজর রেখেছেন।
সেই কারণে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবেদন রেখেছেন, ‘কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীরা প্রতিবছর কালীঘাটে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় ভবনে নেত্রীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিজয়ার শুভেচ্ছা দূর থেকেই করুন।’ তবে কিছু উৎসাহী মানুষ এদিনও কালীঘাটে এসেছিলেন। পুলিসকর্মীরা তাঁদের ফিরিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী যে বাংলার পাহারাদার, এই বার্তাটা দুর্গাপুজোর আঙ্গিকে আবারও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর
বাড়িতেও কন্ট্রোল রুম করা হয়েছিল। বাড়িতে থেকেই প্রতি মুহূর্তে রাজ্যের প্রতিটি জেলার খবর নিয়েছেন মমতা। তাঁর সচিবালয়ের আধিকারিকরা এসেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকেও খবরা-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও জেলাশাসক, পুলিস সুপার, পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রেখে জেলার সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে নজর ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতার বড় পুজোতে আদৌ ভিড় হয়েছে কি না, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সদা তৎপর। পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মার কাছ থেকে পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য নিয়েছেন, প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির দিকেও মুখ্যমন্ত্রীর নজর রয়েছে।
অন্যদিকে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামনের সারিতে থেকে অনবরত করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন রাজ্যের পুলিসকর্মীরা। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে গত সাট-আট মাসে এই মারণ ভাইরাসের বলিও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তারপরেও মনোবল না হারিয়ে দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে সমানে ডিউটি দিয়েছেন পুলিসকর্মীরা। পুলিস বাহিনীর সর্বস্তরের এই কর্তব্যপরায়ণতাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা। বিশেষ করে দুর্গোৎসবের সময় যেভাবে পুলিসকর্মীরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন নগরপাল। পাশাপাশি পুলিসকর্মীদের বিজয়ার শুভেচ্ছাও জানান তিনি।