শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
এদিন বিপ্লববাবুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দমদমে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় কটাক্ষ করে বলেন, মজবুত সরকার এমন হয়ে গিয়েছে যে মানুষের মাথায় ডান্ডা পড়ছে। এরকম নরেন্দ্র মোদির মতো প্রধানমন্ত্রী চাই না। যিনি বিদেশে ঘুরে ১৮০০ কোটি টাকা খরচ করেন। অথচ বিদেশ থেকে কালো টাকা আনতে পারেন না। নোট বাতিলের মতো ঘটনা ঘটান। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপার নির্বাচনের পরেই ঠিক হবে। এখন যে কোনও মূল্যে তাঁকে সরাতে চাই। এদিন বক্তব্যে সিন্ডিকেট নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিপ্লববাবু। রাজনৈতিকভাবে খোঁচা দিয়ে নির্বাচনী জনসভায় তিনি জানান, বাংলায় কমিউনিস্টরা ক্যাডার উপহার দিয়েছিলেন। তৃণমূল তার সঙ্গে সিন্ডিকেট জুড়ে দিয়েছে। বিপ্লবাবু এদিন ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনকে সরানোর প্রসঙ্গ তুলে জানান, বাংলাকে মুক্ত করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলা সেই দিশাতেই চলছে।
এদিন বেলা ১টা ৩০ মিনিটে বিপ্লবাবুর জনসভার ঘোষণা করা হলেও বেলা সাড়ে তিনটেয় তিনি সেখানে আসেন। হাজারখানেক কর্মীর সামনে এদিন তিনি বক্তব্য রাখেন। তিনি দাবি করেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রার্থীর জামানত জব্দ হবে।
এদিন শমীকবাবু তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর বক্তব্যের শুরুতে অনেকটা সময় জুড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে বাম শাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করেছেন সেই কথা বলেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বক্তব্যে জানান, ২০১১ সাল ছিল বাংলায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই। এখন বাংলায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার চাই। এজন্য তিনি তৃণমূল কর্মী ও বামপন্থীদের কাছেও ভোট চান। এদিন শমীকবাবু ঘুরিয়ে অভিযোগ তুলেছেন, তৃণমূল-সিপিএমের গোপন আঁতাত চলছে। তৃণমূল সিপিএমকে দেওয়াল লিখতে সাহায্য করছে। বিজেপিকে দেওয়াল লিখতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। এ বিষয়ে সৌগতবাবু বলেন, শমীকবাবুরা দেরি করে নেমেছেন এখন দেওয়াল পাচ্ছেন না। ওঁদের কেউ দেওয়াল দিতে চাইছেন না। এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলির জেলা সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, রাজ্য কমিটির সদস্য অনল বিশ্বাস ও অন্যান্যরা।