শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
তৃণমূলের মতে, কংগ্রেস ও বামেরা মুখে বিজেপির বিরোধিতা করলেও তার কোনও মূল্য নেই। কেননা রাজ্যে তো বটেই, দেশেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান প্রতিপক্ষ যেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী, সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট যে ভূমিকা নিয়েছে, তা যথেষ্ট সন্দেহজনক বলেই তৃণমূলের ধারণা। কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে জোট না হলেও তারা বিজেপির সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলেরও বিরুদ্ধে ভোট চাইতে নেমেছেন। উল্লেখ্য, রাজ্যে ক্ষমতায় বসা ইস্তক নানা স্তরের যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, তাতে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমর্থনের ভিত আরও পোক্ত হয়েছে। একইভাবে বাম ও কংগ্রেসের অবক্ষয় অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বাম ও কংগ্রেসের এই অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতার ফলেই তাদের সমর্থন যেমন কমেছে, তেমনই স্ফীত হয়েছে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক। দ্রুত রাজ্যের বিরোধী পরিসরে প্রধান জায়গা দখল করতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। এবার ভোটের মুখে কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব এবং সিপিএম সহ বামদলগুলি বিজেপির শত্রু মমতার বিরোধিতার লাইন নিয়েছে। এদিন অভিষেক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিজেপিরই সুবিধা করতে চাইছে কংগ্রেস ও বামেরা। তবে, এত করেও বিজেপি খাতাই খুলতে পারবে না বলে দাবি তৃণমূল যুব নেতার।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মোটিয়াবুরুজের আকড়ায় কর্মী সমাবেশে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক বলেন, বিজেপিকে পরাস্ত করতে হলে কংগ্রেস বা সিপিএমকে ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করবেন না। কর্মীদের এই কথাটাই ভোটারদের বুঝিয়ে বলতে হবে। তিনি বলেন, বর্ধিত কর্মিসভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা জনসভায় পর্যবসিত হয়েছে। রাজ্যের সব স্তরের মানুষের উন্নয়নে তৃণমূল সরকারের যে অবদান, তা তুলে ধরতে হবে প্রচারে। তাঁর মতে, সিপিএম ধর্ম বিশ্বাস করে না। ভোট এলেই সংখ্যালঘু মানুষের জন্য বড় বড় কথা বলে। আর একজন করে সংখ্যালঘু প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে বামফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন পেশায় চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম। অভিষেক বলেন, বিজেপি এই লোকসভা ভোটে সারা দেশেই পরাজিত হবে। কেউ বলছে হিন্দুরা বিপদে। কেউ বলছে মুসলমানেরা বিপদে রয়েছে। আমরা বলছি, চোখ খুলে দেখুন সারা দেশই বিপদে রয়েছে। এই বিপদ থেকে মুক্তি পেতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।