উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
বর্তমানে ওই ওয়ার্ডে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শতশত মানুষ। ডান-বাম উভয়েই অবশ্য এই সমস্যার কথা স্বীকারও করেছে। সল্টলেকের সঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভাকে সংযুক্ত করে ২০১৫ সালে তৈরি হয়েছে বিধাননগর কর্পোরেশন। বর্তমান ২০ নম্বর ওয়ার্ডটি রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা থাকার সময় ২৯ নম্বর ওয়ার্ড ছিল। প্রসেনজিৎবাবুর অভিযোগ, ওয়ার্ডের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ২০১০ সালে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা একটি অ্যাম্বুলেন্স (টাটা সুমো) কিনেছিল। চেয়ারম্যানের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল। ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল, ‘২৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি’। সেই অ্যাম্বুলেন্স নাকি উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে গত মঙ্গলবার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলার প্রসেনজিৎবাবু প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলার মৌসুমি সাহা, প্রাক্তন সিপিএম নেতা তথা ওয়ার্ড কমিটির সেক্রেটারি তপনকুমার সাহা সহ তিনজনের নামে অভিযোগ করেছেন। প্রসেজিৎ নাগ বলেন, আমি ২০২২ সালে কাউন্সিলার হয়েছিলাম। ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত নাকি ওই অ্যাম্বুলেন্স দেখা গিয়েছে। তারপর থেকে উধাও। ২০১৪ সালে পুরবোর্ড শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও মৌসুমি সাহা ও তপন সাহা অ্যাম্বুলেন্সটি পুরসভাকে হস্তান্তর করেননি। উল্টে, ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। তাই আমি চাই, এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত হোক। দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হোক।
এ ব্যাপারে প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলার মৌসুমি সাহা বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। প্রাক্তন সিপিএম নেতা তথা ওয়ার্ড কমিটির সেক্রেটারি তপনকুমার সাহা বলেন, ২০১৪ সাল পর্যন্ত মৌসুমি সাহা কাউন্সিলার ছিলেন। তারপর তো ২০১৫ সাল থেকে কর্পোরেশন হল। আমাদেরও প্রশ্ন, ওই অ্যাম্বুলেন্স
গেল কোথায়? কারা লোপাট করল? তদন্ত হোক। তিনি বলেন, আমাদের সিপিএম পার্টির অফিসের পাশেই অ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য পুরসভার গ্যারাজ ছিল। অ্যাম্বুলেন্স লোপাট করে সেই গ্যারাজও ঘিরে ফেলা হয়েছে। কারা ঘিরল? আমরাও চাই তদন্ত হোক। তাহলেই সত্য সামনে আসবে।