উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
কাঁচরাপাড়া পুরসভার পক্ষ থেকে এদিন রাস্তা থেকে দখলদার মুক্ত করার কর্মসূচি নেওয়া হয়। তার আগেই অবশ্য সকলকে সরে যাওয়ার জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল। থানা মোড় থেকে জেসিবি নিয়ে অভিযান শুরু হয়। রাস্তার উপর থাকা তৃণমূল, সিপিএমের অফিস ভেঙে দেওয়া হয়। সিপিএম অফিস ভাঙার সময় পুরকর্মী এবং স্থানীয় পুলিস প্রশাসনকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান দলীয় কর্মীরা। সিপিএম কর্মীদের বক্তব্য ছিল, আগে থেকে প্রশাসন কেন চিঠি বা নোটিস দিয়ে আমাদের জানায়নি?
কাঁচরাপাড়া পুরসভার মধ্যে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে দলীয় কার্যালয় তৈরি করেছিলেন তৃণমূল টাউন সভাপতি খোকন তালুকদার। এদিন পুরসভার পক্ষ থেকে অভিযান চালানোর আগেই নিজেদের পার্টি অফিস তাঁরা সরিয়ে নেন। লোক লাগিয়ে অফিসের জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে টাউন সভাপতি বলেছেন, দলের নেত্রী যেহেতু নির্দেশ দিয়েছেন যে সরকারি জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ করা যাবে না, তাই আমরা পুরসভার কাজের সুবিধার জন্য দখলমুক্ত করলাম জায়গা। তবে এই অফিস আমাদের ৩০ বছরের পুরনো।
এছাড়া এদিন কাঁচরাপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দোকান ভেঙে দেওয়ায় স্থানীয় হকাররা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক হকার বলেন, আমরা অত্যন্ত গরিব, কোনওক্রমে রাস্তায় দোকান করে খাই। এবার আমাদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই। এবার হকারি করে খওয়ার অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে। অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি। আর কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আমরা সব রাস্তার দখলদারদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। যাঁরা যাননি, তাঁদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু সিপিএম পার্টি অফিস ভাঙিনি, তৃণমূলের পার্টি অফিসও সরিয়ে দিয়েছি।