কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
কলকাতা সংলগ্ন সল্টলেক অভিজাত শহর হিসেবেই পরিচিত। এখানে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা বৈধ পথে বিজ্ঞাপনের জন্য হোর্ডিং চায়। পুরসভা থেকে বরাদ্দ ১৩৩টি জায়গায় হোর্ডিং রয়েছে। কিন্তু শহরে তার চেয়ে হোর্ডিংয়ের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। খোদ পুরসভার দাবি, নিয়ম মেনে মাত্র ছয়-সাত জন পুরসভাকে ফি দেয়। বহু সংস্থার ফি বাকি। তারা টাকা দিচ্ছে না। সেই সমস্ত হোর্ডিং খুলে দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার দাবি, এবার তাদের টেন্ডারে অংশ নিয়েই হোর্ডিংয়ে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সল্টলেক শহরে কতগুলি হোর্ডিং রয়েছে, তার সমীক্ষাও শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বেআইনি হোর্ডিংয়ের সংখ্যা। কে বা কারা ওই হোর্ডিং বসাল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরসভার দাবি, যেহেতু এই ধরনের অভিযান কম হয়, তাই সেই সুযোগে বেআইনি হোর্ডিংয়ের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। সব জায়গা থেকেই ওই ধরনের হোর্ডিং খুলে ফেলা হবে।
বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, বেআইনি হোর্ডিংয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযান। বৈধ হোর্ডিংয়ের টাকা অনেকে দেয় না। তাই আমরা ঠিক করেছি হোর্ডিংয়ের ফ্লেক্সগুলি খুলে টেন্ডার প্রক্রিয়া করব। সেখানে সকলে অংশ নিতে পারবে। শহরে শুধুমাত্র বৈধ হোর্ডিংই থাকবে। তিনি বলেন, শহরে অনেক বেআইনি হোর্ডিং রয়েছে। আমরা দেখব, বৈধ হোর্ডিং কতগুলি করা যায়। যাতে শহর ঢেকে না যায়। সেই মতো টেন্ডার হবে। মেয়র বলেন, যাঁরা হোর্ডিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের কাউকে আমরা আঘাত করছি না। আমরা চাই, বেআইনি হোর্ডিং বন্ধ হোক। বৈধ পথে হোর্ডিং লাগানো হোক। তাতে আমাদের পুরসভারও রাজস্ব আদায় হবে। আমরা সবার সহযোগিতা চাইছি। এতে শহরও পরিচ্ছন্ন থাকবে।