কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এভাবে প্রতিদিন বহু রোগীর আত্মীয়দের রাত কাটাতে হয়। কারণ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ও মাতৃমাতে তাঁদের থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এদিকে বর্ষাকাল এসে গিয়েছে। এ সময় সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে রোগী আত্মীয়দের অপেক্ষা করার জন্য বিশ্রামাগার থাকলেও সেটি আকারে খুবই ছোট। ফলে সেখানে সবাই জায়গা পান না। অগত্যা হাসপাতালের ভিতরে মেঝেতে চাদর বিছিয়ে রাত কাটাতে হয় কিছু মানুষকে। আবার অনেকে রাতে হাসপাতালের বাইরে মাদুর বা ত্রিপল পেতে মশারি খাটিয়ে থাকেন। আবার মাতৃমা হাসপাতালে কোনও বিশ্রামাগারই নেই। সেখানে সবথেকে বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়েন রোগীর পরিজনরা। কেউ কেউ বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের নীচে আশ্রয় নিয়ে কোনওমতে রাত কাটান।
রোগীর আত্মীয়দের বক্তব্য, হাসপাতাল থাকলেও তার অনেক খামতি রয়েছে। রোগীদের আত্মীয়দের রাত কাটানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত। রাতবিরেতে খোলা আকাশের নীচে থাকা নিরাপদ নয়। তাছাড়া বৃষ্টি হলে মাথা গোঁজার জায়গা পাওয়া যায় না। কেন এতদিনেও হাসপাতাল দু’টিতে রোগীর পরিজনদের রাত কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসের নজরে আসে বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘রোগী কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যানকে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করব। তাছাড়া আমার বিধায়ক তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান দিয়ে কোনও শেড তৈরি করে দেওয়া যায় কি না সেটাও দেখা হবে।’ নিজস্ব চিত্র