কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মান্না (২৩)। তিনি মাস দেড়েক আগে হায়দরাবাদ থেকে তারকেশ্বরে এসেছিলেন। সেখানে ইলেট্রিশিয়ানের কাজ করতেন। এখানে অবশ্য গাড়ি চালাতেন। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই তাঁর হায়দরাবাদে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী বলেন, বিশ্বজিৎ সম্পর্কে শ্যালক হয় বিকাশের। মৃতের বাবা অভিযুক্তের খুড়শ্বশুর। বদমেজাজি বিকাশ গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা একটু শান্তিতে থাকতে পারব। সে কাউকে পরোয়া করত না। মারধর, গালিগালাজ সব সময় লেগেই থাকত। মুড়িকল তৈরির পিছনেও অনেক ঘটনা রয়েছে। স্থানীয় একটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা শোধ করেনি বিকাশ। অন্যায় করলেও সাহস করে ওর বিরুদ্ধে মুখ খুলত না কেউ। আগে ধান বিক্রির কাজ করত। বহু মানুষকে টাকা দেয়নি বলে শুনেছি।
এদিন বিকাশের স্ত্রী স্বীকার করে নেন যে, তাঁর স্বামী ও ছেলের মারধরের ফলেই মারা গিয়েছে বিশ্বজিৎ। তিনি বাধা দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দিয়েছিল বাপ-ব্যাটা। মৃত বিশ্বজিতের স্ত্রী রিম্পা মান্না বলেন, রাত ৯টার সময় চুরি হয়েছে বলে ওরা অভিযোগ করেছিল। সেই সময় আমার স্বামী ঘরেই ছিলেন। রাত ৮টার মধ্যে তিনি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। রাতে স্বামী আমার পাশেই ঘুমাচ্ছিলেন। ওরা সন্দেহের বশে ঘর থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করল স্বামীকে।
অভিযুক্তের নিজের শ্যালক উৎপল মান্না জামাইবাবুর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে বলেন, এই গ্রামে সবথেকে খারাপ মানুষ হল বিকাশ। নিজের পরিবারেও সব সময় অশান্তি করত। আমার দিদির উপরেও অত্যাচার করত। আমার নিজের কাকার ছেলেকে পিটিয়ে মারল। কেউ কারও শ্যালককে এভাবে খুন করতে পারে? আমি নিজে শ্যালক হয়ে জামাইবাবুর ফাঁসি চাইছি। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় দিনভর উত্তেজনা ছিল। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিসের ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অগ্নিশ্বর চৌধুরীর নেতৃত্বে আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মোতায়েন রয়েছে পুলিস বাহিনী।