সংবাদদাতা, কল্যাণী: বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৮৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বের ব্যক্তি এবং ৪০ শতাংশের ঊর্ধ্বের প্রতিবন্ধীদের ভোট নিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা তৈরি হল গয়েশপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, ওই ওয়ার্ডের ২৭০ নম্বর পার্টের বিক্রমপুরে বাড়ি বাড়ি ভোট নিতে যাওয়ার সময় বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) বিজেপি কর্মীদের ডাকেন বলে অভিযোগ। কিন্তু তৃণমূলের কাউকে জানানো হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরেই উত্তেজনা তৈরি হয়। ভোটকর্মীদের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে এরপরই লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। এতে যুব তৃণমূলের রানাঘাট সংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদীপ দে, স্থানীয় কাউন্সিলার সহ চার, পাঁচজন আক্রান্ত হন। পরে উত্তেজিত তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা ওই ওয়ার্ডের জনপুর যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিসি আশ্বাসে প্রায় ৪০ মিনিট পর অবরোধ ওঠে।
এই বিষয়ে ওই বিএলও মধুমিতা দাস বলেন, আমার কাজ সেক্টর অফিসারকে বয়স্ক ভোটারদের বাড়িগুলি চিনিয়ে দেওয়া। আমি সেই কাজই করছিলাম। এখানে কাউকে আমি ডাকিনি। ভোট চলাকালীন আমারও বাড়ির মধ্যে ঢোকার অধিকার নেই। এরপর গণ্ডগোল হয়েছে শুনেছি। অন্যদিকে, গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্থানীয় বিএলও বিজেপি কর্মীদের নিয়ে জোর করে ভোটারদের বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছিলেন। তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। এরপরে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করে। তৃণমূল নেতা সুদীপ দে বলেন, বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমরা প্রতিবাদ করায় মারধর করেছে। আমাকে মেরেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছি।