আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
আরামবাগের বিডিও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যুবকের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ওইদিন ক্যাম্প শেষ করে আমরা নার্সিংহোমে পৌঁছই। তারপর ওই পরিবারের প্রত্যেকের নাম এন্ট্রি করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের উদ্দেশ্য, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেই কাজই আমরা করেছি।
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য সাইকেলে চেপে দুয়ারে সরকার শিবিরে যাচ্ছিলেন রিয়াজউদ্দিন। সেই সময় তাঁর সাইকেলের পিছনে একটি টোটো ধাক্কা দেয়।
দুর্ঘটনার পর তাঁকে শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানান, তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর নীচে দু’জায়গায় হাড় ভেঙে গিয়েছে। দুঃস্থ পরিবারের পক্ষে অস্ত্রোপচারের জন্য রাতারাতি ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। সেই খবর পান প্রশাসনের আধিকারিকরা।
তারপর ওই শিবির শেষ করে রাতেই প্রশাসনের একটি টিম নার্সিংহোমে আসে। এরপর মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে যুবককে কার্ড দেওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির বড় ছেলে রিয়াজউদ্দিন। আগে তিনি মুম্বইয়ে কাজ করতেন। লকডাউনে বাড়ি ফেরেন। বর্তমানে তিনি অন্যের জমিতে খেত মজুরের কাজ
করছিলেন। রিয়াজউদ্দিন নার্সিংহোমের বেডে শুয়েই বলেন, কখনও ভাবিনি স্বাস্থ্যসাথী ক্যাম্পে যেতে না পারলেও তাঁরা নিজেরাই এসে আমাকে সুবিধা দেবেন। এর জন্য আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
জখম যুবকের মা রিজিয়া বেগম চোখের জল মুছে বলেন, স্বামী অসুস্থ। ছেলের চিকিৎসার জন্য টাকা কীভাবে জোগাড় হবে ভেবে পাচ্ছিলাম না। প্রশাসনের আধিকারিকরা রাতারাতি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে দেন। তাতে বিনামূল্যে ছেলের অপারেশন হয়েছে। এর জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।