বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
সোমেনের একটা বড় গুণ ছিল জেলায় জেলায় ঘোরা। বিধানসভা, লোকসভার নির্বাচনের থেকেও ওঁর বেশি চিন্তা থাকত দলের সংগঠন নিয়ে। প্রত্যন্ত গ্রামের কর্মীকেও নামে নামে চিনত। কলকাতায় বসে বিবৃতি দেওয়ার রাজনীতি ওঁর নাপসন্দ। তার থেকে হঠাৎ কোনও জেলায় গিয়ে দলের সাধারণ কর্মীর বাড়িতে রাত কাটাতে বেশি পছন্দ করত সে। উজ্জীবিত করত কর্মীদের। নকশাল আমলেও সোমেনের লড়াই ভোলার নয়। প্রিয়দা, সোমেন আর আমাকে ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ বলা হতো। আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের কাজকর্মে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তবে ইন্দিরা গান্ধীকে ফেলে সবাই যখন চলে গেল, সেই তালিকায় নাম ছিল প্রিয়দারও। আমি আর সোমেন থেকে গেলাম। সেসময় জুটি ভেঙে যাওয়ার কষ্ট অনুভব করেছি। পরে রাজীব গান্ধীর হাত ধরে আমরা আবার একত্রিত হয়েছিলাম। প্রিয়দার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। সুবক্তা, তার সঙ্গে ডেডিকেশন, ডিটারমিনেশন। আর সোমেন ছিল পরোপকারী। মানুষের আপদে-বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ত। দলের কর্মী-সমর্থক তো বটেই, সাধারণ মানুষের জন্যও সোমেনের দ্বার ছিল অবারিত। উত্তর কলকাতা আর সোমেন মিত্র যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। কংগ্রেস ছেড়েছিল। আবার ফিরেও এসেছিল। এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে চেষ্টা করেছিল হাসিমুখে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। আরও কিছুদিন কাজতো করতেই পারত! শেষযাত্রায় বন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। -নিজস্ব চিত্র