সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
ডেবরায় একটি লরি থেকে হাপিস করে দেওয়া হয় ১৫০০ অ্যাপল মোবাইল। লরিটি চেন্নাইয়ের অ্যাপল কারখানা থেকে মোবাইল নিয়ে কলকাতায় আসছিল। কেবিনের ভিতর কেটে এই চুরির ঘটনা ঘটে। লরিটি রাস্তায় পড়ে ছিল। তদন্তে নেমে সিআইডি গাড়ির চালকের মোবাইলের কল ডিটেইলস ঘেঁটে জানতে পারে, একাধিকবার দু’টি নম্বর থেকে ফোন এসেছে তার কাছে। জানা যায়, ওই সিম দু’টি হরিয়ানার নু থেকে নেওয়া। ঘটনার দিন সেটির টাওয়ার লোকেশন ডেবরায় ছিল। টাওয়ার ডাম্প নিয়ে দেখা যায়, চেন্নাই থেকেই ওই নম্বরটি থেকে ফোন যাচ্ছে লরির চালকের কাছে। সেখান থেকে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, গ্যাংটি হরিয়ানার এবং ওই ঘটনায় চালকও জড়িত। যে ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির কাছ থেকে লরিটি নেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে যোগাযোগ করে চালকের তথ্য নেওয়া হয়। এরপরই সিআইডি টিম হরিয়ানার নু থেকে চালক শের মহম্মদ ও কোম্পানির সুপারভাইজার শ্যামসুন্দরকে গ্রেপ্তার করে।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, তারা নুহ ও মেওয়াটে চলা অ্যাপল মোবাইল চুরির গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের মূল লক্ষ্য অ্যাপলসহ বিভিন্ন কোম্পানির দামি দামি মোবাইল সেট ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী হাতানো। কারখানা থেকে যে সমস্ত ট্রান্সপোর্ট সংস্থার লরিতে এই মাল বুকিং হয় সেই সমস্ত পরিবহণ কোম্পানিতে চক্রের পাণ্ডারা নুহ ও মেওয়াটের ছেলে ঢুকিয়েছে। তারা লরির চালক, খালাসি বা মাল ওঠানামানোর কাজ করছে। তাদের মাধ্যমেই তথ্য আসছে কোন লরিতে মোবাইল লোড করে বাইরে বেরচ্ছে। খবর পাওয়ামাত্রই গ্যাংয়ের পাণ্ডারা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে ওই কারখানার সামনে হাজির হচ্ছে এবং পিছু নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট লরির। চালক বা খালাসি চক্রের সদস্য হওয়ায় হাইওয়েতে গাড়ি থামিয়ে দিচ্ছে তারা। লরির কেবিন কেটে মোবাইল হাতিয়ে গাড়িতে করেই তারা পালাচ্ছে হরিয়ানায়। লরি হাইওয়েতে ফেলে বেপাত্তা হয়ে যাচ্ছে চালক ও খালাসি। সিআইডির কাছে খবর, ডেবরাতেও একই কায়দায় অপারেশন চালানো হয়। হাতানো মোবাইল জমা পড়ছে নুহ ও মেওয়াটের এক শরপঞ্চের কাছে। তার হাত ঘুরেই তা চলে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে, এমনকী বিদেশেও। চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ চলছে।