পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট শুরু বৃহস্পতিবার। তার আগে শাস্ত্রীর বিশ্লেষণ, ‘সিরিজ এখন যে অবস্থায় রয়েছে তাতে অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়াই। পারথ, অ্যাডিলেড ও ব্রিসবেন টেস্টের পর সফরকারী দল পিছিয়ে নেই। বক্সিং ডে টেস্টে সমান-সমান অবস্থায় নামছে রোহিতরা। এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। আমি তো বলব, ভারতই এগিয়ে রয়েছে।’ প্রথম তিন টেস্টে অজি টপ অর্ডারকে ভঙ্গুর দেখিয়েছে। উসমান খাওয়াজা, নাথান ম্যাকসুইনি, মার্নাস লাবুশানেরা সামলাতে পারেননি বুমরাহকে। তাই ম্যাকসুইনিকে ছেঁটে ফেলে স্কোয়াডে আনা হয়েছে কনস্টাসকে। শাস্ত্রী বলেছেন, ‘আমি তো দীর্ঘদিন পর কোনও অজি লাইন-আপের টপ অর্ডারকে এমন পলকা দেখলাম। ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। তবে কনস্টাসকে দলে আনা ভালো সিদ্ধান্ত। এমন কাউকে দরকার ছিল, যে ভারতীয় বোলিংকে পাল্টা আক্রমণ করার ক্ষমতা ধরে।’
ডনের দেশে আগের দুই সফরে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। এবার টানা তৃতীয়বার সিরিজ জয়ের হাতছানি টিম ইন্ডিয়ার সামনে। শাস্ত্রীর কথায়, ‘এটা বিশাল কীর্তি। দীর্ঘ সময় ধরে কোনও দল এদেশে এভাবে জেতেনি। সাধারণত ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষকে দুরমুশ করে। তাই ভারত যদি টানা তিনটি সফরে টেস্ট সিরিজ জেতে তবে তা হবে স্পেশ্যাল। অবশ্য তার জন্য ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এই টেস্টে অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই ঝাঁপিয়ে পড়বে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ভারত এখানে জিততে এসেছে, ঘুরতে নয়। আমি যখন কোচ ছিলাম তখনও এটাই মন্ত্র ছিল। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর উপায় খোঁজা জরুরী। কীভাবে ২০টা উইকেট নিতে হবে, সেজন্য যথাযথ পরিকল্পনার প্রয়োজন। ভারত সেটা করে দেখিয়েছে। আক্রমণাত্মক থেকেছে। চাপের মুখেও প্রত্যাঘাত করেছে।’