নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শেষ ছয় ম্যাচে চারটি জয়। হার মাত্র একটিতে। কোচ অস্কার ব্রুজোঁর হাত ধরে আইএসএলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইস্ট বেঙ্গল। চোট এবং কার্ড সমস্যা সত্ত্বেও আনোয়ার-ক্লেটনদের হার না মানা মানসিকতা ও দলের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রশংসা কুড়িয়েছে ফুটবল মহলে। কোচ অস্কারের অধীনে ইস্ট বেঙ্গল ডিফেন্সে দেখা গিয়েছে আমূল পরিবর্তন। আইএসএলে প্রথম ছ’ম্যাচে ১২ গোল হজম করেছিলেন হিজাজিরা। অথচ পরের ছয়টি ম্যাচে সেই সংখ্যা মাত্র চার। এই পর্বে রয়েছে চারটি ক্লিনশিট। হায়দরাবাদ ম্যাচের আগে এই পরিসংখ্যান রীতিমতো স্বস্তি দিচ্ছে লাল-হলুদ কোচকে। তা সত্ত্বেও ফের একবার রক্ষণে রদবদল আনতে হবে তাঁকে। টুর্নামেন্টে চারটি হলুদ কার্ড দেখায় পরের ম্যাচে হেক্টর ইউস্তেকে পাবে না ইস্ট বেঙ্গল। পাশাপাশি চোটের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন মহম্মদ রাকিপ। অন্তত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই রাইট-উইং ব্যাককে। ফলে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে ফিরছেন আনোয়ার। আর ডানদিকে শুরু করবেন লালচুংনুঙ্গা। কোচ অস্কার অবশ্য এই নিয়ে খুব একটা ভাবতে নারাজ। বরং আনোয়ার-হিজাজিরা যেভাবে প্রতি ম্যাচে দলকে ভরসা জোগাচ্ছেন, তাতে অনেক বেশি আপ্লুত তিনি।
রক্ষণের পাশাপাশি ইস্ট বেঙ্গলের আপফ্রন্টেও ঝাঁঝ বেড়েছে। মাধি তালাল-সাউল ক্রেসপোর অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না ক্লেটনরা। চোট সারিয়ে দলে ফিরেই স্কোরশিটে নাম তুলেছেন দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস। আক্রমণভাগের এই দুই কাণ্ডারি অবশ্য ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়েও দলগত সংহতিতেই জোর দিচ্ছেন। অভিজ্ঞ ক্লেটনের কথায়, ‘দল প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করছে। আগামী দিনেও এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে। একই সঙ্গে সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন।’ ক্লেটনের সুরে সুর মিলিয়েই দিয়ামানতাকোসের মন্তব্য, ‘বেশি দূরের কথা না ভেবে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগতে চাই। সব বিভাগেই আমরা উন্নতি করেছি। বিশেষত রক্ষণের পারফরম্যান্স সবচেয়ে বেশি স্বস্তি জোগাচ্ছে। আগামী দিনেও এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে।’