পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
গত বছর নভেম্বরে আমেদাবাদে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষবার দেশের জার্সিতে খেলেছিলেন সামি। তারপর চোট সমস্যায় ভোগেন দীর্ঘদিন। লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে থাকায় শরীরের ওজন বাড়ে। রিহ্যাবের পর মাঠে ফিরে রনজি ট্রফিতে অবশ্য দুর্দান্ত বোলিং করেন। প্রশংসিতও হন ক্রিকেট মহলে। আশা করা হচ্ছিল, সামি হয়তো অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। কিন্তু সেই সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকে। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা খোদ তাঁর ফিটনেস নিয়ে মুখ খোলায় বোঝাই যাচ্ছিল যে, সামিকে আনফিট ঘোষণা করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে সেই বার্তা এল মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার মাঠে নামার দিন কয়েক আগে।
বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মেডিকেল টিমের নজরদারিতে সামির রিহ্যাব আপাতত চলবে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে আদৌ তিনি খেলতে পারবেন কিনা, তা জানা যাবে বোর্ডের মেডিকেল ইউনিটের রিপোর্টের ভিত্তিতে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি ফরম্যাটে একটানা বোলিংয়ের ধকল নেওয়ার জায়গায় নেই সামি।
তবে সামনে রয়েছে আইপিএল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণাও বাকি। এই পরিস্থিতিতে সামি দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন। তবে বয়স একটা বড় ফ্যাক্টর। তাই আইপিএলে কোনওভাবে খেললেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সামির কামব্যাক প্রশ্নের মুখে।
এদিকে, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির তৃতীয় টেস্ট শেষ হতেই অবসর নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে বিড়ম্বনায় ফেলেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হলেন মুম্বইয়ের অফ-স্পিনার তনুশ কোটিয়ান। মূলত ব্যাক-আপ হিসেবেই ২৬ বছরের স্পিনারকে দলে নিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।