শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
স্টুটগার্ট: স্বপ্নভঙ্গ জার্মানির! শুক্রবার স্টুটগার্টে অতিরিক্ত সময়ের লড়াইয়ে আয়োজক দেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে স্পেন। গোল করে ও করিয়ে ম্যাচের সেরা ড্যানি ওলমো। স্পেনের অপর গোলদাতা মিকেল মেরিনো। জার্মানির হয়ে জাল কাঁপিয়েছেন ফ্লোরিয়ান রিৎজ।
২০০৮ ইউরো ফাইনালে জার্মানিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল স্পেন। এদিন আশা জাগিয়েও তার বদলা নিতে ব্যর্থ নাগেলসম্যানের দল। তবে প্রশংসা করতে হবে স্প্যানিশ তরুণ ড্যানি ওলমোর। ম্যাচের শুরুতেই ক্রুজের কড়া ট্যাকলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পেড্রি। তাঁর পরিবর্তে এরপ্রকার বাধ্য হয়েই ওলমোকে মাঠে নামান স্প্যানিশ কোচ। আর এই সুপার-সাবই শেষ পর্যন্ত ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিলেন। ৫১ মিনিটে জাল কাঁপানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত সময়ে মিকেল মেরিনোকে দিয়ে স্পেনের জয়সূচক গোলটিও করালেন তিনি।
স্পেনের কোচ লুই ডে লা ফুয়েন্তে এদিন ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন। প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারত স্পেন। কিন্তু পেড্রির দুর্বল শট সহজেই রুখে দেন ন্যুয়ের। উল্টোদিকে ২১ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় আয়োজক দেশ। কিন্তু কিমিচের ক্রসে হাভার্টজের হেড দুরন্ত সেভ করে দলের পতন রুখেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক সিমোন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লেরয় সানের পরিবর্তে ফ্লোরিয়ান রিৎজকে মাঠে নামান জার্মান কোচ। এই পর্বে গোলের লক্ষ্যে মরিয়া আক্রমণ চালায় স্পেন। ফলও মেলে হাতেনাতে। ৫১ মিনিটে দলকে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন ওলমো। ডান দিক থেকে লামিনের পাস থেকে দুরন্ত শটে জাল কাঁপান এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড (১-০)। গোল হজমের পরই নড়েচড়ে বসে জার্মানি। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে ফুলক্রুগ, মুলারদের মাঠে নামান কোচ। শেষ পর্যন্ত ৮৯ মিনিটে জার্মানিকে সমতায় ফেরান রিৎজ। ম্যাক্সিমিলানের ভাসানো বল হেডে বক্সে রিৎজকে সাজিয়ে দেন কিমিচ। সেখান থেকে দুরন্ত ড্রপ শটে জাল কাঁপান জার্মান মিডিও (১-১)। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই পর্বে বাজিমাত স্পেনের। ১১৯ মিনিটে ওলমোর ক্রস থেকে হেডে জয়সূচক গোল মেরিনোর (২-১)। তবে শেষ মুহূর্তে ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কার্ভাহাল। সেমি-ফাইনালে তাঁর অভাব ভোগাতে পারে স্পেনকে।