পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম বড় নাম শান্তিনিকেতন। এবার পৌষমেলার ‘মহাযজ্ঞ’ আয়োজন করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ঐতিহ্যবাহী এই মেলা দেখতে এবারও পূর্বপল্লির মাঠে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে পুলিসের জেরবার অবস্থা। উপরন্তু এদিন ছিল বড়দিন। ছুটি থাকায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা আনন্দে মাতলেন। এখানে আসার জন্য বন্দে ভারত, শান্তিনিকেতন, কবিগুরু এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। হাজার হাজার পর্যটক আসায় শান্তিনিকেতন রোড কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। মেলা যাওয়ার রাস্তা ছাড়া স্টেশন রোড থেকে ট্যুরিস্ট লজ মোড় ও শ্যামবাটি থেকে সোনাঝুরি যাওয়ার রাস্তাগুলি পর্যটকের গাড়িতে ঠাসা ছিল। শুধু পৌষমেলা দেখতে নয়, সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট, বল্লভপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন আমার কুটির, পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের সৃজনী শিল্পগ্রাম, গোয়ালপাড়ার কোপাই নদী সংলগ্ন শিল্পীহাট, ইলামবাজারের আমখই ফসিলস পার্ক প্রভৃতি জায়গায় পর্যটকরা ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় হস্তশিল্প সামগ্রী কেনেন।
এদিন অজয় ও কোপাই নদী সংলগ্ন চরগুলিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও পিকনিকে মেতে ওঠেন। দুর্গাপুরের দেবরাজ চক্রবর্তী ও কলকাতা থেকে আসা ফণীভূষণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শান্তিনিকেতন বরাবরই পছন্দের জায়গা। সারা বছর শহরের কোলাহলে থাকি। তাই পিকনিকের জন্য শান্ত জায়গা হিসেবে কবিগুরুর পীঠস্থান আদর্শ। সকালে মেলা ঘোরার পর কোপাই নদীর পাড়ে পিকনিকের আনন্দে মেতে উঠেছি। এরপর খোয়াইয়ের হাটে জিনিসপত্র কেনার পর আগামীকাল বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখব বলে প্ল্যান করেছি। বড়দিনের ভিড় সামলাতে এদিন জেলা পুলিস পরিকল্পনামাফিক কাজ করেছে। নিয়মমাফিক টহল, ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি, পুলিস অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ থেকে আগত দর্শনার্থীদের সহায়তা করা হয়। নদী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে পিকনিকে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকেও বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিসের কড়া নজর ছিল।
(কঙ্কালিতলায় ভক্তভিড় (উপরে)। নিজস্ব চিত্র)