পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জামবনী এলাকার গিধনী রেঞ্জের গদরাশোল বিট এলাকায় হাতির এই দলটি অবস্থান করছিল। ফলে ওই দিনই জঙ্গল লাগোয়া টেলামুড়ি কেন্দডাংরি, ভাতুড়, সোনামুখী, কুড়ারিয়া, টুলিবড়, পড়শুলি, আহারমুড়া, সারেঙ্গা, মহিষামুড়া ও পড়াডিহা সহ অন্যান্য গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে বনদপ্তর। এক বাসিন্দা বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে বাঁকড়া জঙ্গলের দিক থেকে এই হাতির দলটি রেহেড়ার জঙ্গলে প্রবেশ করেছে।
প্রসঙ্গত, বড়দিনের ছুটি থেকে প্রায় গোটা জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্থলে ব্যাপক ভিড় হয়। জামবনীর চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ঝাড়খণ্ড এলাকা থেকে পর্যটকরা মানুষমুড়িয়া দিয়ে কনকদুর্গা মন্দিরে আসা যাওয়ার জন্য এই হাতি অধ্যুষিত এলাকার রাস্তাগুলি বেছে নেন। পথে হাতির তাণ্ডবের আশঙ্কা থাকে। ফলে অধিক রাত পর্যন্ত যাতে হাতি অধ্যুষিত এলাকার রাস্তায় কেউ যাতায়াত না করেন তারজন্য বনবিভাগ বিভিন্নভাবে প্রচার করে এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে।২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম ডিভিশন এলাকায় মোট ৪৬টি হাতি অবস্থান করছে। এর মধ্যে ঝাড়গামের শালবনী এলাকায় ১২টি হাতি, গিধনী রেঞ্জের রেহেড়ায় ১৫টি হাতি ও বাঁকাভুরকুণ্ডা এলাকায় ১৩টি হাতির দল অবস্থান করছে। পড়শুলি গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ মাহাত বলেন, এখন জঙ্গলে হাতির কোনও খাবার নেই। ফলে হাতির দল গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে। এই নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। ঝাড়খণ্ডের মানুষমুড়িয়া এলাকা থেকে কনকদুর্গা মন্দির বা ঝাড়গ্রামে যাতায়াত করতে গেলে আমাদের আস্তি, মালবান্দি, বাকড়া, পড়শুলি গ্রামের রাস্তা দিয়েই সবাই যাতায়াত করেন। তবে রাত ৮টার পর জঙ্গলের রাস্তায় কেউ যেন যাতায়াত না করেন। এই জন্য বনবিভাগ থেকে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে, ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। মেসেজ করলেও উত্তর দেননি।-নিজস্ব চিত্র