পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বাঁকুড়ার পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে এদিন ভালো ভিড় চোখে পড়ে। মুকুটমণিপুর জলাধারে পর্যটক ও পিকনিক পার্টির লোকজন বোটিং করেন। শুশুনিয়া, বিহারিনাথ পাহাড়ে বহু মানুষকে পিকনিক করতে আসেন। সুতান, ঝিলিমিলির জঙ্গলেও অনেকে বনভোজন করেন।
এদিন সেন্ট্রাল চার্চ সহ জেলার গির্জাগুলিতে সকাল থেকেই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা প্রার্থনা করেন। সন্ধ্যায় বাঁকুড়া শহরের স্কুলডাঙা মোড়ের গির্জায় কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। বিকেলে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন একটি পার্কে ক্রিসমাস কার্নিভালের আয়োজন করা হয়। সেখানে বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বিষ্ণুপুরে মন্দিরে মন্দিরে পর্যটকের ঢল নামে। সকাল থেকেই দলমাদল কামান, রাসমঞ্চ, জোড় বাংলো, শ্যামরাই, জোড় শ্রেণি প্রভৃতি মন্দিরে পর্যটকরা ভিড় জমান। রাসমঞ্চের টিকিট কাউন্টারে রীতিমতো লাইন দিয়ে পর্যটকদের টিকিট কাটতে হয়। অনেকে অবশ্য কিউআর কোড ব্যবহার করেও টিকিট কাটেন। পোড়ামাটির হাট সংলগ্ন খোলা জায়গায়, লালবাঁধের পূর্ব পাড় এলাকায় অনেকেই পিকনিক করেন। এদিন সোনামুখীর রণডিহা, জয়পুরের জঙ্গলেও প্রচুর পিকনিক পার্টি আসে। বিষ্ণুপুরের চার্চে সকাল থেকেই প্রার্থনা শুরু হয়। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা তাতে অংশ নেন। বড়দিন উপলক্ষ্যে রঘুনাথপুর মহকুমার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ব্যাোক ভিড় দেখা যায়। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় সামাল দিতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি জায়গায় পুলিস সহায়তা শিবির করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে থার্মোকলের ব্যবহার রোধ করা গিয়েছে। তবে বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্রে বক্স বাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিন সাঁতুড়ির বড়ন্তি, নিতুড়িয়ার গড় পঞ্চকোট, পাঞ্চেত জলাধার, রঘুনাথপুরের জয়চণ্ডী পাহাড়, তেলকুপি ঘাট, কাশীপুরের রঞ্জনডি কালিদহ জলাধার প্রভৃতি পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে।
বড়দিন উপলক্ষ্যে আরামবাগ মহকুমাতেও প্রভু যিশুর আরাধনা হয়। এদিন সকালে আরামবাগের দু’টি গির্জায় যিশুর প্রার্থনা হয়। কেক কেটে তা বিলিও হয়েছে। মহকুমার অন্যান্য এলাকার গির্জাতেও যিশুর আরাধনা হয়।
এদিন মহকুমার বাসিন্দাদের একাংশ পিকনিকে মেতে ওঠে। গোঘাটের গড় মান্দারণ পর্যটন কেন্দ্রে পিকনিকের জমজমাট আসর বসে। খানাকুলের কয়েকটি পিকনিক স্পটেও বাসিন্দারা বন ভোজন সারেন। বিভিন্ন জায়গায় নদীর চরেও পিকনিক হয়। অন্যান্যবারের মতো এবারও চাঁদুর ফরেস্টে পিকনিক হয়নি। বন দপ্তরের অনুমোদনে পার আদ্রা, ভাদুর এলাকায় পিকনিকের আসর বসে।