পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ঘটনাটি ঘটে ২২ ডিসেম্বর সকালে। আহত যুবক বীরনগর এলাকার বাসিন্দা। সকালে বাইক চালিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। শরীরের বাইরে বড়সড় চোট আঘাত না থাকায় প্রথমে তিনি কিছু বুঝতেই পারেননি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তলপেটে অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ওই যুবককে নিয়ে যান রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে দুর্ঘটনার জেরে শরীরে জটিল সমস্যা দেখা দিয়েছে। সাধারণত মহকুমা হাসপাতালে এরকম অস্ত্রোপচার হয় না। ফলে রেফারই একমাত্র উপায়। যদিও চিকিৎসকরা স্বল্প পরিকাঠামোতেই ওই যুবকের অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন।
চিকিৎসক অরূপ মোহন্তর তত্ত্বাবধানে ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার করা হয় ওই যুবকের। ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় অস্ত্রোপচার সফল হয়। বলা ভালো, প্রাণরক্ষা হয় ওই যুবকের। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক বলেন, সাধারণত এই ধরনের সমস্যা হলে তা পরবর্তীতে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। অনেক সময় স্বাভাবিক অবস্থান থেকে অন্ডকোষ বেশি উপরে উঠে গেলে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যার ফল খারাপ হতে পারে। কিন্তু আমাদের শল্য বিভাগের গোটা দল এবং অ্যানাসথেটিস্ট সুজয় তালুকদারের সহযোগিতায় ওই যুবককে বাঁচাতে পেরেছি। এটাই আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি। আমরা সবসময় চাই সরকারি হাসপাতালে এসে মানুষ সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা পান।
সমস্যার কথা শুনেই ওই যুবকের পরিবারের মাথায় হাত পড়েছিল। সফল অস্ত্রোপচারের পর তাঁরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। হাসপাতালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁরা। দুর্ঘটনায় জখম ওই যুবক বলেন, প্রচণ্ড যন্ত্রণায় ছটফট করছিলাম। তখন বুঝতে পারিনি এত মারাত্মক বিপদ হয়েছে। সরকারি হাসপাতালকে অনেকে ভরসাই করে না। কিন্তু আজ সেখানকার চিকিৎসকরাই আমার প্রাণরক্ষা করলেন। এবিষয়ে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, এখন সরকারি হাসপাতালে সুযোগ সুবিধা অনেক বেড়েছে। আমরা স্বল্প পরিসরেও উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের চিকিৎসকরা ভালো কাজ করেছেন। এযাবৎ একাধিক জটিল অস্ত্রোপচার করেছেন আমাদের শল্যচিকিৎসকরা। আমরা ধীরে ধীরে হাসপাতালের পরিকাঠামো আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি।