পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টের টাকা হাতানোর জন্য প্রতারকরা প্রতিবারই সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারাই বাড়ি পাইয়ে দিচ্ছে, এমনই দাবি করে প্রতারকরা উপভোক্তাদের থেকে টাকা দাবি করে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য কাউকে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ টাকা চাইলে সরাসরি জেলাশাসকের দপ্তরে বা পুলিসের কাছে উপভোক্তারা ফোন করতে পারেন। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। উপভোক্তাদের সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
খণ্ডঘোষের বিডিও অভীককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখন সবার হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে। সেই কারণেই কিউআর কোড চালু করা হয়েছে। সেটি স্ক্যান করে উপভোক্তারা যাবতীয় অভিযোগ জানাতে পারবেন। সঙ্গে সঙ্গেই তা আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে যাবে। অভিযোগকারীর নামও গোপন থাকবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৭৫ হাজারের বেশি উপভোক্তা আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা পাচ্ছেন। অনেকের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই টাকা ঢুকে গিয়েছে। বাকিরাও কয়েকদিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন। রাজ্য সরকার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই এক শ্রেণির প্রতারক টাকা হাতাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন, প্রতারকদের কাছে উপভোক্তাদের তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা ধরেই প্রতারকরা উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছতে চাইছে। বিভিন্ন কৌশলে তারা টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করেছে। উপভোক্তাদের তালিকা যাচাই করেছেন প্রশাসনের কর্মীরা। তা একাধিকবার যাচাই করা হয়েছে। কেউ প্রভাব খাটিয়ে কারও নাম তালিকায় নথিভুক্ত করতে পারেনি। আবার বাদও দিতে পারেনি। তবে সুপার চেকিং করার পরেও মেমারি-১, ভাতার, মন্তেশ্বরের মতো কয়েকটি ব্লকে তালিকায় অযোগ্যদের নাম রয়েছে। সেই কারণে জেলাশাসক কর্মীদের ওই নামগুলি ধরে তাদের বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও অযোগ্য উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা গেলে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি ওই ব্লকের আধিকারিকদের কৈফিয়ত তলব করা হবে। এছাড়া অযোগ্য উপভোক্তাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের আর এক আধিকারিক বলেন, প্রশাসনের দেওয়া হেল্পলাইনে ফোন করে অনেকেই অভিযোগ জানাচ্ছেন। সেগুলি নথিভুক্ত করা হচ্ছে। সেই সমস্ত অভিযোগ যাচাই করা হচ্ছে। পাকাবাড়ি থাকা কেউ এই প্রকল্পের টাকা পাবে না। ভুল করে টাকা গেলেও তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে।