পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
লক্ষ্মীপুর মাঠে পিতা-পুত্রের কীর্তি ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর স্বাস্থ্যদপ্তরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে তারা নকল নার্সিংহোম চালিয়ে এলেও প্রশাসনের তা নজরে আসেনি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, ওই দু’জন ডাক্তারি পাশ করেনি। তারা কোনও নথি দেখাতে পারেনি। তারা ঘরের মধ্যেই রোগী দেখতো। এক আধিকারিক বলেন, সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। সেকারণে দীর্ঘদিন ধরে নকল নার্সিংহোম চললেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ অনেকে নামের পাশে ডাক্তার লিখে প্র্যাকটিস করছে। তাদের কাছে দালালরা রোগী নিয়ে আসে। তার বিনিময়ে তারা মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন পায়। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের রোগীরাই তাদের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাঁদের ধারণা বর্ধমানে ভালো চিকিৎসা হয়। কিন্তু কোন ডাক্তার ভুয়ো সেটা তাঁদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। দালালরা যমন বোঝায় তাঁরা তেমনটাই করেন। লক্ষ্মীপুর মাঠের পিতা-পুত্র এভাবেই ফুলেফেঁপে উঠেছে। দু’টি প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরির পাশাপাশি গাড়ি রয়েছে। প্রভাবশালীদের কাছে তারা কার্যত ‘কল্পতরু’। সেই কারণে তারা রমরমিয়ে কারবার চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন চার বছর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিল। বেশ কিছুদিন জেলও খেটেছে। জামিন পাওয়ার পর সে আবার কারবার শুরু করে। স্থানীয়রা বলেন, এবারও সে তেমনটাই করবে। প্রভাবশালীদের হাত মাথায় রয়েছে। তাই তাদের আটকে রাখা সম্ভব নয়। গ্রেপ্তার হওয়ার দিন তাদের বিরুদ্ধে কয়েকজন মুখ খুলেছিল। তারা এখন আতঙ্কে । তাদের একজন বলেন, ওদের হাত অনেকটাই লম্বা। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর কী করবে বুঝতে পারছি না।