পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
রবিবার ছুটির দিনে তুলনামূলক ভিড় কম থাকলেও জেলা সদর আসানসোল বাস স্ট্যান্ডে মানুষের যাতায়াত লেগেই রয়েছে। বাস স্ট্যান্ডেই রয়েছে একাধিক খাবার হোটেল। সেখানে গিয়েই গরম ভাতে গোগ্রাসে খাচ্ছেন দরিদ্র গরিব মানুষ থেকে যাত্রীরা। এদিনই ছিল বিশ্ব এইডস দিবস। সেই কর্মসূচির পাশাপাশি খাদ্য সুরক্ষা শাখার পক্ষ থেকে হাজির করানো হয়েছিল ‘ফুড সেফটি অন হুইলস’ গাড়িটিও। গাড়ির মধ্যেই খাবারের মান যাচাই করার সরঞ্জাম থাকে। গাড়ি রাখার মূল উদ্দেশ্য খাবারের মান নিয়ে মানুষকে সচেতন করা। হাজির ফুড সেফটি অফিসারও। সেখানেই সারি দিয়ে রয়েছে একের পর এক খাবার হোটেল। ফুড সেফটি শাখার কর্তাব্যক্তিদের সামনেই অত্যন্ত খারাপ পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার। পোড়া তেল, পোড়া বাসনেই হচ্ছে রান্না। এলাকাজুড়ে উনুনেন ধোঁয়া। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বাবার হোটেলটিই চালাচ্ছেন রূপেশ গরাই। তিনি বলেন, ফুড সেফটি লাইসেন্স করা নেই। বাবার নামেই এখনও রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে হোটেল চলছে বলে তাঁর দাবি। পাশেই রয়েছে ইন্দ্রদেব বার্নওয়ালের হোটেল। তিনি বলেন, সাত বছর ধরে ব্যবসা করছি। ফুড লাইসেন্স নেই। কর্তাব্যক্তিদের সচেতনতা কর্মসূচির সামনেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বাকি শহরের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। আসানসোল বাস স্ট্যান্ড চত্বর হোক বা হটন রোড আসানসোল বাজার, বিএনআর মোড়, চিত্রা মোড়, বার্নপুর বাস স্ট্যান্ড স্টেশন, আসানসোল রেলপার সহ সর্বত্র ফাস্ট ফুডের দোকান রাতারাতি গজিয়ে উঠছে। বিভিন্ন রকমের কাবাব থেকে চাউমিন, মোমা সহ নানা সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। এক ঠেলায় খারাব বানানো, বাসন ধোয়া সব হয়ে যাচ্ছে ম্যাজিকের মতো। আসলে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে। নতুন প্রজন্ম খাবারই কোনও ভাবনাচিন্তা ছাড়াই মুখে তুলছেন। শুধু রাস্তার খাবার দোকানগুলি কেন, বিভিন্ন সময়ে যাত্রীদের মুখেই ভালো হোটেলের খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন শোনা যায়। আসানসোল, দুর্গাপুরের মতো বড় শহরে তা নিয়ে প্রশাসনিক অভিযান সাম্প্রতিককালে হয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। কেন এই অবহেলা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ডেপুটি সিএমওএইচ অনুরাধা দেব বলেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় লক্ষাধিক খাবার বিক্রেতা রয়েছেন। ফুড সেফটি অফিসার মাত্র পাঁচজন। পর্যাপ্ত লোক ও পরিকাঠামো অভাব রয়েছে। সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানুষকে ফুড সেফটি লাইসেন্স করার জন্য সচেতনা করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে নোটিসও করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে খাবারের নমুনা সংগ্রহও করা হয়।