অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
এফএসএনএল ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রকের অধীনে আসে। সেইলের কারখানাগুলির সঙ্গেই সংস্থার প্রতিটি ইউনিট যুক্ত। সরকারি সংস্থা হয়েও এই সংস্থা বছরে প্রায় একশো কোটি টাকার মুনাফা করত। সূত্র মারফৎ খবর, সংস্থার ক্যাশ ব্যালেন্স আছে ২১০ কোটি টাকা, ১৭৫ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট আছে। ৩০০ কোটি টাকা সেইলের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পাবে। ১৫০ কোটি টাকার নানা সামগ্রী আছে। প্রশ্ন হল, এভাবে এক হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক সম্পদ যুক্ত সংস্থাকে বিক্রির কেন এত তোড়জোড় ছিল? শ্রমিক নেতাদের দাবি, সংস্থার সবক’টি ইউনিট মিলে প্রায় সাড়ে পাঁচশো স্থায়ী শ্রমিক ও দু’হাজার অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন। এই সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে বিজেপি সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই তৎপর ছিল। কেন্দ্রে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় অনেকেই আশা করেছিলেন বেসরকারিকরণের অবস্থান থেকে পিছু হটবে সরকার। কিন্তু ছ’মাস পার না হতেই ফের আগের অবস্থানে তাঁরা। বিষয়টি আঁচ করেই এফএসএনএলের কর্পোরেট অফিস ভিলাইয়ে মঙ্গলবারই শ্রমিক নেতারা ইস্পাতমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করে আপত্তির কথা জানান। এমনকী ছত্রিশগড়ের রায়পুরে ডেপুটি লেবার কমিশনার (সেন্ট্রাল) আছেও বিষয়টি তোলা হয়েছে । তাঁরা সোমবার আলোচনার দিন ধার্য করেছিলেন। তারপরই রাতারাতি বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সংস্থা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত সামনে আসে। সেখানে জানানো হয়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, ইস্পাতমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী ও নীতীন গাদকারি স্ট্র্যাটেজিক ডিসইনভেস্টমেন্টের অনুমোদন দিয়েছেন। তারপরই থেকেই ইস্কো সহ সেইলের বিভিন্ন কারখানায় এফএসএনএলের ইউনিটগুলির সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে। কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে না এলে সরকারি ইস্পাত কারখানায় ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রাজ্য আইএনটিইউসির সহ সভাপতি হরজিৎ সিং বলেন, মঙ্গলবার ইস্পাতমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বলছেন, তিনি বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে বোঝাবেন। আবার বৃহস্পতিবার তাঁর উপস্থিতিতেই ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা বেসরকারিকরণ চূড়ান্ত করছেন। এর থেকে দ্বিচারিতা আর কী হতে পারে! হাজার কোটির সংস্থাকে ৩২০ কোটি টাকায় বিক্রির তাগিদ কেন? এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের ঝড় উঠবে। সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেন প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছেন। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে সরব হতে আর্জি করেছি।