অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
এদিন জরুরি বিভাগ, ইনডোর, জেনারেল ইমারজেন্সিতে জুনিয়র ডাক্তারদের চিকিৎসা দিতে দেওয়া গেল। আউটডোরের মেডিসিন ওপিডিতে তাঁরা কাজ না করলেও কিছু কিছু বিভাগে এদিন তাঁরা কাজ করেছেন। সোমবার থেকে পুরোপুরি কাজে নামতে চলেছেন তাঁরা।
মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল অমিতকুমার দা বলেন, শনিবার আউটডোরে যে সমস্ত রোগী এসেছেন, তাঁদের সিনিয়র চিকিৎসকরা দেখেছেন। তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা ধীরে ধীরে কাজে ফিরছেন। মেডিসিন ওপিডি এবং কোল্ড ওটির কাজ না করলেও অন্য সব বিভাগে তাঁরা পরিষেবা শুরু করেছেন। সোমবার থেকে তাঁরা সমস্ত বিভাগে পরিষেবা দেবেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। কোনও জোর করা হয়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় কাজে ফিরেছেন।
আরজি করের ঘটনার জেরে দিনের পর দিন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে চিকিৎসা পরিষেবা মেলেনি। আউটডোরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রোগীদের ফিরে যেতে হয়েছে। অভিযোগ, অনেক সিনিয়র চিকিৎসক ওপিডিতে রোগী না দেখে অভয়া ক্লিনিকে রোগীদের পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেখানে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের চিকিৎসা করাতে হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা না থাকায় ঠিকমতো পরিষেবা মেলেনি বলে রোগীদের দাবি।
মেডিক্যালের আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন হরিহরপাড়ার গিয়াসউদ্দিন আলি। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতাল ছাড়া আমাদের মতো গরিব মানুষের যাওয়ার জায়গা নেই। ব্লক হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু চারদিন ধরে জ্বর কমছে না। কাশতে কাশতে পেটব্যথা হয়ে যাচ্ছে। তাই মেডিক্যালে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ডাক্তারবাবু দেখলেন। ভগবানগোলার বাসিন্দা রিজিয়া বিবি বলেন, গত সপ্তাহে দাঁতের চিকিৎসার জন্য এসে ফিরে গিয়েছি। বাইরে অভয়া ক্লিনিক চলছিল। দীর্ঘক্ষণ রোদে লাইন দিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। অবশেষে এদিন ডাক্তার দেখাতে পারলাম। জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, তাঁরা পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু নিরাপত্তা ছাড়া কাজ করা যায় না। তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু দাবি মিটছে কিনা-সেটা এবার তাঁরা দেখবেন। শনিবার থেকে অনেকেই কাজ শুরু করেছেন। সোমবার থেকে পুরোদমে কাজ চলবে। • আউটডোরে রোগী দেখছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। -নিজস্ব চিত্র