অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
পেশায় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ব্রজনাথ কুম্ভকার এই প্রতিমা তৈরি করছেন। তিনি বলেন, এর আগেও আমার তৈরি পোড়ামাটির দুর্গা কলকাতা সহ ভিন রাজ্যে গিয়েছে। এবারও কলকাতার একটি মণ্ডপ থেকে অর্ডার পেয়েছিলাম। খুব কম সময়ের মধ্যে তা তৈরি করতে হয়েছে। পোড়ামাটির দুর্গা তৈরি করতে অনেকটাই সময় লাগে। তবুও তার মধ্যে আমার সহকারী দুই শিল্পীকে নিয়ে তা তৈরির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তা ভাটিতে পোড়ানো হয়েছে। বহনের সুবিধার্থে সবকটি মূর্তি একাধিক খণ্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। পাঁচমুড়ায় গিয়ে দেখা গেল, শিল্পীর বাড়িতে থরে থরে সাজানো পোড়ামাটির বিভিন্ন শিল্প সামগ্রী। এছাড়াও বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওয়ার্কশপে চলছে পোড়ামাটির কাজ। তারই একপাশে সাজানো রয়েছে বাহন সহ দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও মহিষাসুর। প্রতিটি মূর্তি একাধিক খণ্ডে বিভক্ত। শেষ পর্যায়ের সাজানোর কাজ করছেন ব্রজনাথবাবু এবং তাঁর সহকারী দুই শিল্পী সন্তোষ কুম্ভকার ও মন্টু কুম্ভকার। শিল্পী বলেন, পোড়ামাটির শিল্পসামগ্রী তৈরি করা বেশ সময়সাধ্য। প্রচুর শ্রমও দিতে হয়। বিশেষ করে দুর্গা প্রতিমার অর্ডার অনেক দেরিতে পাওয়া যায়। ওই সময় অন্যান্য শিল্পের কাজ ছেড়ে মূর্তি তৈরিতে সময় দিতে হয়। আমার স্কুল থাকায় অবসর সময়ে কাজ করি। সেজন্য দু’জন সহশিল্পীকে কাজে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের সদস্যরাও হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন। মূর্তির দাম প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। - নিজস্ব চিত্র