অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
জেলার কৃষি আধিকারিক অজয় শর্মা বলেন, সাঁকরাইল ও নয়াগ্ৰাম ব্লকেই ফসলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। মূলত আউশ ধানই বেশি নষ্ট হয়েছে। দপ্তরের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করছেন। সোমবারের মধ্যে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র আমরা জানতে পারব।
ঝাড়খণ্ডের গালুডি থেকে গত সোমবার ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৫২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। এরপরই সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। নদীর জল নিচু বাঁধ টপকে তীরবর্তী কৃষিজমিতে ঢুকে পড়ে। সাঁকরাইল ও নয়াগ্ৰাম ব্লকের বহু জমিতে এখনও জল জমে আছে। পাকা আউশ ধান কাটার সময় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জমা জলে আউশ ধান ও সব্জির বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
জেলার উদ্যানপালন বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৬০ হেক্টর জমির সব্জি নষ্ট হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জেলায় ৩৭টি মাটির বাড়ি পুরো ভেঙে পড়েছে। সাতশোর বেশি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে জমির জল নামা শুরু হয়েছে। তবে এখনও বহু জমি জলের তলায়। সাঁকরাইল ব্লকের আঁধারি পঞ্চায়েত এলাকার শালবনি, বৈঁচা, তেঁতুলিয়া, বাহারাদুরি সহ ১১টি মৌজার ৯০ শতাংশ জমির ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধানঘোরীর কুবদা, রগড়া, রোহিনী, লাউদহ পঞ্চায়েতের ২০-৫০ শতাংশ ধান ও সব্জি নষ্ট হয়েছে। সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সাধারণত অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেও সুবর্ণরেখা নদী দিয়ে এলাকার জল বেরিয়ে যায়। এবার ঝাড়খণ্ড থেকে জল ছাড়ার কারণেই নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল। ফসলের ক্ষয়ক্ষতির এটি অন্যতম কারণ।
নয়াগ্ৰাম ব্লকের মলম, শুকদেবপুর, যাদবপুর, নরসিংহপুর, আউসাপাল, কলমাপুকুরিয়াতেও ধান ও সব্জি নষ্ট হয়েছে। এই ব্লকের এডিএ অনির্বাণ পাড়ি বলেন, মলম, বড়খাঁকরি, পাতিনা পঞ্চায়েতে আউশ ধানের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান এসেছে, তা অনুযায়ী
মলম এলাকার ৭৫ শতাংশ, পাতিনায় ৬০ শতাংশ ও বড়খাঁকরি এলাকার ৫০ শতাংশ জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এখন জল অনেকটাই নেমেছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই মনে করছি।
মলম গ্ৰামের চাষি চিণ্ময় পৈড়্যা বলেন, আউশ ধান পেকে গিয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে যেত। কিন্তু ধানগাছ এখন জলের তলায়। বেশিরভাগ ধান নষ্ট হয়ে যাবে। বিপুল ক্ষতি কীভাবে সামলাব জানি না।
মহকুমা শাসক শুভ্রজিৎ দাসগুপ্ত বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ফসল নষ্টের সঙ্গে বাড়িঘর পড়ে গিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।