অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
এতদিন মূলত রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতেই ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ উঠছিল। এবার ডিগ্রি কলেজেও তা ছড়িয়ে পড়ল। কলেজে পড়ুয়াদের স্বার্থবিরোধী কোনও কাজ বরদাস্ত করা হবে না বলে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এদিন কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে অপর্ণা ও শ্রেয়সী বলেন, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় গ্রাফিতি এঁকেছিলাম। বিভাগীয় প্রধান আমাদের দু’জনকে শুক্রবার ক্লাস থেকে বের করে দেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি আন্দোলনে নামার বিষয়টি বলেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যাবে না বলেও তিনি জানান। এমনকী টাকা তোলার ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আমাদের ফাঁসানোরও চক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে ভয় দেখানোকে আমরা ‘থ্রেট কালচারের’ অঙ্গ হিসেবেই দেখছি। ঘটনার দিন আমরা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, তিনি সমস্যার সুরাহা করতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়ে এদিন সকাল থেকে আমরা আন্দোলন শুরু করি। কলেজের গেটের সামনে একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, শ্যামল সাঁতরার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি। ভূগোল বিভাগ নিয়ে একজন ছাত্রী আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে, কয়েকজন ছাত্রীর বিরুদ্ধে কলেজের মধ্যে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ ৭১ জন ছাত্রী লিখিতভাবে আমাকে দিয়েছেন। এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটলেই ভালো। শ্যামলবাবু বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কয়েকজন ছাত্রী আন্দোলনের নামে টাকা তুলছিল। নিচু ক্লাসের ছাত্রীদের তারা চাপ দিয়ে আন্দোলনে নিয়ে যাচ্ছিল। এব্যাপারে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে জুনিয়র ছাত্রীরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি ওই দুই ছাত্রীকে ক্লাস করা থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।