অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, দীঘা এমনিতে সেজেই রয়েছে। তবে পুজোর আগে এখানকার নানা জায়গায় বিকল পথবাতি মেরামত করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববাংলা উদ্যানে খামতি থাকলে তা পূরণ করা হচ্ছে। রাস্তা মেরামত, শহরকে সাফসুতরো রাখার কাজ চলছে।
দীঘার ঢেউসাগর পার্ক, অমরাবতী পার্ক, সায়েন্স সেন্টার, মেরিন অ্যাকোয়ারিয়মের মতো দর্শনীয় জায়গা পর্যটকদের জন্য সেজে উঠেছে। পুজোর সময় এসব দর্শনীয় জায়গায় পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম হয়।
দীঘায় বেশ কয়েকটি পুজো বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকরাও সেই পুজোয় আনন্দে মেতে ওঠেন। ওল্ড দীঘায় ব্যারিস্টার কলোনি, টাউন ফ্রেন্ডস ক্লাব, সর্বজনীন দুর্গা ও লক্ষ্মীপুজো কমিটি এবং দীঘা রামকৃষ্ণ সারদা আশ্রমের পুজো দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। নিউ দীঘা সর্বজনীন, দীঘা বর্ডার সর্বজনীন, দীঘা সর্বজনীন যুব দুর্গোৎসব কমিটির পুজোও খুব জনপ্রিয়। রয়েছে হোটেলমালিক সংগঠন ‘নিউ দীঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ দুর্গাপুজোও। প্রতিটি পুজোই জমজমাট হয়। পর্যটকরা প্যান্ডেল হপিংয়ের পাশাপাশি অঞ্জলি দেন। পুজো কমিটির আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। এবার পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে জগন্নাথধাম। এই মন্দির তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। পুজোর পরই উদ্বোধন হওয়ার কথা। তবে নির্মীয়মাণ মন্দিরও যে পুজোর সময় পর্যটকদের উপরি পাওনা হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ওল্ড ও নিউ দীঘার বেশ কিছু হোটেল-লজ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরই পুজোর সময় বিশেষ প্যাকেজের আয়োজন করে। এবারও সেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে হোটেল-লজ বুকিং ও এনকোয়ারি শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে তা বাড়ছে। পুজোয় ১০০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলবে বলে আমরা মনে করছি।