অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ
এদিন পুলিস সুপার বলেন, অনামিকা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ২লক্ষ ২৬হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এর মধ্যে দু’বার ওই টাকার সুদ ফেরত পেয়েছিলেন। তারপর টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এই টাকা মূলত তিনি বন্ধু, অধ্যাপক সহ পরিবারের থেকে সংগ্রহ করেছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। যা টাকা ফেরত না পাওয়ায় অনামিকার ওপর চাপ তৈরি হচ্ছিল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রিপ্টো কারেন্সি এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি। যাতে মূলত অনলাইনেই বিনিয়োগ করা যায়। কিন্তু ভুয়ো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করার ফাঁদও রয়েছে সাইবার দুনিয়ায়। এই প্রতারণা চক্রের পাল্লায় পড়েই অনামিকার সর্বস্ব খোওয়া যায়। যে কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। প্রতারকরা টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ক্রমে যোগাযোগ করত। ফলে এর মূল পাণ্ডা কারা, তা খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। তবে তাদেরও খোঁজ আগামীদিনে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিস সুপার।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক দিবসের দিন অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় শিল্প সদনের তৃতীয় বর্ষের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্রী অনামিকা সিংয়ের। এরপরেই পুলিস তদন্ত শুরু করে তাঁর মোবাইল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে কলকাতার বেনিয়াপুকুর থেকে দু’দফায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম মহম্মদ ফায়েজ, আলি, মহম্মদ কাইফ, শেখ কামরান ও জায়েদ হোসেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই এই তথ্য উঠেছে এসেছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।